আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিশ বাঁও জলে ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য চুক্তি! আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির জন্য এখনও পর্যন্ত পাঁচ রাউন্ড বৈঠক করেছে ভারত। চলতি মাসের শেষ দিকে উভয় দেশের মধ্যে ষষ্ঠ রাউন্ডের বৈঠক হওয়ার কথা। তার আগেই সেই বৈঠকে জল ঢাললেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, ভারত-মার্কিন শুল্ক সমস্যা মেটার আগে পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে কোনও বাণিজ্য আলোচনা নয়।

রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনার জেরে ক্ষুব্ধ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। রেয়াত করেননি 'বন্ধু' মোদির দেশকেও। ইতিমধ্যেই আমেরিকা ভারতের উপরে মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে দিয়েছে। যা নিয়ে ভারত-মার্কিন বাণিজ্যিক টানাপোড়েন চরমে। এই অবস্থায় ট্রাম্প ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা বাতিল করে দিয়েছেন। যার ফলে দুই দশকেরও বেশি সময়ের ভেতর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভারত বাণিজ্য উত্তেজনা বিরলতম পর্যায়ে পৌঁছাল।

অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের পর তিনি কি ভারতের সঙ্গে আরও বাণিজ্য আলোচনা আসা করেন? হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেছেন, "যতক্ষণ না এটা মিটছে, ততক্ষণ কোনও বাণিজ্য আলোচনা হবে না।" 

?ref_src=twsrc%5Etfw">August 7, 2025

এর আগে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছিলেন, রাশিয়ার সঙ্গে যেসব দেশ লেনদেন চালাচ্ছে, তাদের উপরে 'সেকেন্ডারি স্যাংশন' অর্থাৎ বাড়তি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। তারপরই ভারতীয় পণ্য আমদানির উপর মার্কিন প্রশাসন ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের পরই ভারতের বিদেশ মন্ত্রক কড়া প্রতিক্রিয়া দেয়। সাউথ ব্লক মার্কিন সিদ্ধান্তকে, 'অযৌক্তিক, অন্যায্য এবং অসঙ্গত' বলে জানিয়েছে। দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলে ভারত জানিয়েছে, রাশিয়া থেকে তেল কিনছে চিন ও তুরস্ক-ও। অথচ একমাত্র ভারতকেই নিশানা করল আমেরিকা। ভারতের তেল আমদানি মূলত বাজারের উপর নির্ভর করে নির্ধারণ করা হয় এবং ১৪০ কোটির বেশি মানুষের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে দেয় ভারত।

আরও পড়ুন- ভয়ঙ্কর, ১ কোটির বেশি ভোট চুরি করেছে বিজেপি! রাহুলের অ্যাটম বোমায় কাঁপছে দেশ

প্রধানমন্ত্রী মোদির বক্তব্য, "কৃষক, জেলে এবং দুগ্ধ চাষীদের স্বার্থের সঙ্গে ভারত কখনও আপস করবে না। আমি জানি আমাদের এর জন্য ভারী মূল্য চোখাতে হবে। তার জন্য যদি আমায় ব্যক্তিগত ভাবে মূল্য চোকাতে হয়, তবুও আমি পিছপা হব না।"

মার্কিন আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, প্রাথমিকভাবে ২৫ শতাংশ শুল্ক ৭ অগাস্ট থেকে কার্যকর হয়েছিল। অতিরিক্ত শুল্ক ২১ দিনের মধ্যে কার্যকর হবে এবং মার্কিন বন্দরে প্রবেশকারী সমস্ত ভারতীয় পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। তবে ইতিমধ্যেই ট্রানজিট পণ্য এবং কিছু অব্যাহতিপ্রাপ্ত বিভাগ এতে ছাড় পাবে।