আজকাল ওয়েবডেস্ক: হুগলি জেলার ক্রীড়াজগতের জন্য এক গর্বের মুহূর্ত এনে দিল চুঁচুড়ার ধরমপুর অ্যাথলেটিক ক্লাব। সদ্যসমাপ্ত নবম আন্তর্জাতিক ক্যারাটে প্রতিযোগিতা ‘২০২৫ ইন্ডিয়ান চ্যালেঞ্জার্স কাপে’ ভারতের হয়ে অংশ নিয়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেল ক্লাবের ছাত্রছাত্রীরা। কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করেন। এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাটি মূলত আয়োজিত হয় AISSKF (All India Seishinkai Shito Ryu Karate Do Federation)-এর উদ্যোগে এবং KAB (Karate Association of Bengal)-এর সহযোগিতায়। জানা গিয়েছে, ধরমপুর অ্যাথলেটিক ক্লাব থেকে মোট ৫০ জন ছাত্রছাত্রী ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন এবং তাঁদের পারফরম্যান্সে অভিভূত গোটা ক্যারাটে মহল।

ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিযোগীরা মোট ১৯টি স্বর্ণপদক, ১২টি রৌপ্যপদক এবং আরও বেশ কিছু ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেছেন। ক্লাবের ক্যারাটে শিক্ষক অসীম চোঙদার বলেন, ‘ছাত্রছাত্রীদের কঠোর পরিশ্রম ও নিয়মিত অনুশীলনের ফলেই এই সাফল্য এসেছে’। তিনি আরও জানান, এই ধরনের আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে সাফল্য অর্জন করলে তা ছাত্রছাত্রীদের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে। অন্যদিকে ক্লাবের ক্যারাটে শিক্ষিকা সঙ্গীতা মাইতি চোঙদার বলেন, ‘ধরমপুর ক্লাবের সার্বিক সহযোগিতায় অনুশীলন চলে। আমরা বিশ্বাস করি, আগামী দিনে আমাদের ছাত্রছাত্রীরা আরও বড় মঞ্চে দেশের জন্য সাফল্য আনবে’।

ছাত্রছাত্রীদের এই সাফল্যে খুশি অভিভাবকরা ও স্থানীয় বাসিন্দারাও। জেলার তরফ থেকেও এই প্রতিভাবান ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ দিতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ক্রীড়াক্ষেত্রে একাধিক সাফল্য এসেছে হুগলি জেলা থেকে। কিছুদিন আগেই সুব্রত কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতায় হুগলি জেলা চ্যাম্পিয়ন হয় সুগন্ধা হাই স্কুল। বৈদ্যবাটির বিএস পার্ক মাঠে ফাইনালে গরলগাছা হাই স্কুলকে টাইব্রেকারে ৪–৩ গোলে হারিয়ে জয়ী হয় সুগন্ধা হাই স্কুল। ৬৪ তম সুব্রত কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতায় হুগলি জেলা থেকে পাঁচশোর বেশি স্কুল অংশ নিয়েছিল।

নকআউট পর্যায়ের এই খেলার আরামবাগে সেমিফাইনাল হয়। সেখানে ৩–০ গোলে জয়ী হয়েছিল সুগন্ধা হাই স্কুল। সুগন্ধা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘খেলাধুলার পরিকাঠামো ভাল নয়। তার মধ্যে থেকেও চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে ছেলেরা খেলাধুলা চালিয়ে যেতে পারে। স্কুলের বেশিরভাগ পড়ুয়াই আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবার থেকে আসে। কয়েকটা ছেলে খুব ভাল খেলেছে। আমরা হুগলি জেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এরপর রাজ্যস্তরের খেলা হবে সোনারপুরে। দূরে খেলতে যাওয়ার ক্ষেত্রে গাড়ির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন পোলবা দাদপুর ব্লকের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ প্রশান্ত গোল। তাঁর কাছেও আমরা কৃতজ্ঞ।’