আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফেলু একটি স্থানীয় এআই-চালিত ব্রাউজার। ২০২৫ সালে ওয়েব ব্রাউজিংয়ের নিয়মগুলি নতুনভাবে নিয়ে এল। এটি বিশ্বের প্রথম "এজেন্টিক এআই" ব্রাউজার যা কাজগুলি দ্রুত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
 
 এটি গুগল ক্রোম এবং অ্যাপলের সাফারি উভয়ের আধিপত্যকে সাহসের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করছে। এআই যুগে নতুন ব্রাউজার যুদ্ধে আপনাকে স্বাগতম। সক্রিয় ব্রাউজিং এর অর্থ হল ফেলু আপনার কর্মকে ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ করে। কর্মক্ষেত্রে নীরবে মাল্টিটাস্কিং করে এবং রিয়েল-টাইম সতর্কতার মাধ্যমে আপনাকে অবহিত রাখে। আপনি চিন্তা ছাড়াই ট্যাব পরিবর্তন করতে পারেন বা নতুন কাজ শুরু করতে পারেন। 
 
 এটা ঠিক যেন একজন ব্যক্তিগত সহকারীকে আপনার ব্রাউজারে সরাসরি সংযুক্ত করে রাখা। অক্লান্ত পরিশ্রম করে গবেষণা করা, প্রতিবেদন তৈরি করা এবং আপনার জন্য ডেটা পরিচালনা করার কাজটি এটি অতি সহজেই করতে পারবে।
 
 এটি তার সমসাময়িক যেকোনো ব্রাউজার বা ক্রোমের মতো ব্রাউজারগুলির তুলনায় দ্রুত কার্যকর বুদ্ধিমত্তা প্রদান করে।
 
 এর ব্যবহারের ধরণ কী কী?
 
 এর ব্যবহারের ধরণ ব্যাখ্যা করে টেক ম্যাগাজিন এআই রকস্টারস উল্লেখ করেছে যে ফেলু একসাথে ৪৩টি প্ল্যাটফর্ম জুড়ে জটিল কাজ পরিচালনা করে। লিঙ্কডইন থেকে শুরু করে লক-ডাউন ডাটাবেস পর্যন্ত। হ্যাঁ, এমনকি পাসওয়ার্ড-সুরক্ষিত জিনিসপত্রও। এটি এর "ডিপ অ্যাকশন" প্রযুক্তি দিয়ে কাজ করছে।

 
 ফেলু কেবল আরেকজন এআই সহকারী নন। এটিকে "নতুন ডিজিটাল সহকর্মী" হিসেবে ডাকা হয়। এবং এটি কখনই ভুলে যায় না যে এটি কী করছে।
অন্যদের যে কাজে ১১ থেকে ১৮ মিনিট সময় লাগে। সেটি ফেলু ৪ মিনিটের কম সময়ে শেষ করে। যেহেতু সবকিছু স্থানীয়ভাবে চলে তাহলে ডেটা স্থানীয়ভাবে থাকে। Fellou এর গেম-চেঞ্জিং বৈশিষ্ট্যগুলি নীচে দেওয়া হল যা এটিকে সাধারণ সার্চ ইঞ্জিনগুলির থেকে আলাদা করে তুলতে পারে।Deep Action Search, Deep Action Automation: Fellou আপনার ভাষার কমান্ডগুলিকে স্বায়ত্তশাসিতভাবে বহু-পদক্ষেপ এক্সিকিউটেবল ওয়ার্কফ্লোতে রূপান্তর করে। একটি বিস্তারিত গবেষণা প্রতিবেদন চান? Fellou আপনার আঙুল না তুলেই ডেটা পুনরুদ্ধার করবে, বিশ্লেষণ করবে এবং ফলাফল সংকলন করবে।
 
 কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) নিয়ে আমাদের আগ্রহ কেবল বিজ্ঞানভিত্তিক নয়, বরং এর সঙ্গে মিশে আছে দার্শনিক, মানবিক এবং শৈল্পিক প্রশ্ন। সিনেমা বরাবরই এই আগ্রহকে নতুন মাত্রা দিয়েছে, যেখানে এআই কখনো বন্ধু, কখনো শত্রু, আবার কখনো আত্মপরিচয়ের সংকটে ভোগা এক সত্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। কিন্তু সিনেমার এই কল্পনা বাস্তবের সঙ্গে কতটা মেলে? আজকের এআই কতটা সিনেমার এআইয়ের কাছাকাছি?
আরও পড়ুন: দ্রুত শোধ হবে আপনার পার্সোনাল লোন, মানতে হবে এই টিপস
 
 এই বুদ্ধিমত্তার ধারণা ১৯৫০-এর দশকে প্রথম স্পষ্ট রূপ পায়। আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলে পরিচিত অ্যালান টুরিং ১৯৫০ সালে তার বিখ্যাত গবেষণাপত্র ‘কম্পিউটিং মেশিনারি অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স’ প্রকাশ করেন, যেখানে তিনি ‘টুরিং টেস্ট’-এর প্রস্তাব করেন। এই পরীক্ষা যন্ত্রের বুদ্ধিমত্তা পরিমাপের একটি মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত হয়। এআই গবেষণা প্রথম গতি পায় ১৯৫৬ সালের ডার্টমাউথ কনফারেন্সে, যেখানে ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ বা ‘এআই’ শব্দটি প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবহৃত হয়। এই সম্মেলনকে এআই-এর জন্মলগ্ন বলা যেতে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে এআই বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন নিয়মভিত্তিক সিস্টেম এবং লজিক প্রোগ্রামিং নিয়ে কাজ করেন। তবে ১৯৭০ এবং ৮০-এর দশকে এআই গবেষণায় এক ধরনের স্থবিরতা আসে, যাকে ‘এআই উইন্টার’ বা ‘এআই-এর শীতল যুগ’ বলা হয়। প্রয়োজনীয় কম্পিউটিং ক্ষমতা এবং ডেটার অভাবে গবেষণা অনেকটাই ধীরগতিতে চলে। কিন্তু ২০০০ সালের পর পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে। ডিপ লার্নিং, বিগ ডেটা এবং উন্নত কম্পিউটিং ক্ষমতার কারণে এআই নতুন করে জাগরিত হয়।
