আজকাল ওয়েবডেস্ক: ব্যক্তিগত ঋণ নেওয়ার সময়, ঋণগ্রহীতাদের জন্য ব্যক্তিগত ঋণের EMI ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে তাদের আর্থিক অবস্থা সুবিন্যস্ত করা গুরুত্বপূর্ণ। যারা জানেন না, তারা মাসিক কিস্তির অঙ্ক প্রকাশ করার আগে একটি ব্যক্তিগত ঋণের EMI ক্যালকুলেটর তিনটি ভেরিয়েবল ব্যবহার করে।


EMI ক্যালকুলেটরে যে তিনটি ভেরিয়েবল প্রবেশ করতে হয় তা হল ঋণের পরিমাণ, ঋণের মেয়াদ এবং সুদের হার।
ঋণের পরিমাণ: ঋণের EMI নির্ধারণকারী প্রথম পরিবর্তনশীল হল ঋণের পরিমাণ। ঋণের পরিমাণ যত বেশি হবে, EMI তত বেশি হবে এবং ঋণের পরিমাণ যত কম হবে, মাসিক কিস্তি তত কম হবে।
ঋণের মেয়াদ: ব্যক্তিগত ঋণের EMI ক্যালকুলেটরে দ্বিতীয় যে বিষয়টি উল্লেখ করতে হবে তা হল ঋণের মেয়াদ। ঋণের মেয়াদ যত বেশি হবে, কিস্তি তত ছোট হবে এবং মেয়াদ যত কম হবে, EMI তত বেশি হবে।
সুদের হার: পরিশেষে, EMI (সমান মাসিক কিস্তি) ক্যালকুলেটরে তৃতীয় যে পরিবর্তনশীলটি প্রবেশ করাতে হবে তা হল সুদের হার, যা মাসিক কিস্তির সাথে সরাসরি সমানুপাতিক। সুদের হার যত কম হবে, কিস্তি তত কম হবে এবং সুদের হার তত বেশি হবে, EMI তত বেশি হবে।


উদাহরণ: উদাহরণস্বরূপ, যদি কেউ ৫ লক্ষ টাকার ঋণ নেয় যা বার্ষিক ১১ শতাংশ সুদের হারে বিতরণ করা হয়। এখন, যদি ঋণের মেয়াদ ৩ বছর হয়। উপরে উল্লিখিত তিনটি পরিবর্তনশীলের মান এখানে দেওয়া হল:
ঋণের পরিমাণ: ₹৫ লক্ষ
মেয়াদ: ৩ বছর
সুদের হার: ১১ শতাংশ বার্ষিক।


অনলাইন ইএমআই ক্যালকুলেটরে এই পরিসংখ্যানগুলি প্রবেশ করালে, আপনি এই সংখ্যায় পৌঁছাবেন: প্রতি মাসে ১৬,৩৬৯।


হঠাৎ টাকার প্রয়োজন হলে অনেক সময় ফিক্সড ডিপোজিট বা রেকারিং ডিপোজিট ভেঙে সেই টাকা নিই আমরা। আবার মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নি থাকলে সেই অর্থও অনেক সময় তুলে নিই আমরা। অনেক বেশি টাকার প্রয়োজন হলে, অনেকে পার্সোনাল লোনও নিয়ে নেয়। সঞ্চয় ভেঙে টাকা নিলে বা লোন নিলে বিভিন্ন ধরণের অসুবিধাও দেখা যায়।


সঞ্চয় ভাঙলে বিনিয়োগ বা সঞ্চয়ের যে লক্ষ তা নষ্ট হয়। আবার পার্সোনাল লোন নিলে সেই ক্ষেত্রে অনেকটা বেশি টাকা মেটাতে হয়। ফলে, ক্ষতির মুখে পড়ে সেই সঞ্চয়ই। কিন্তু এছাড়াও লোন পাওয়া যায়। মিউচুয়াল ফান্ডকে সিকিওরিটি হিসাবে রেখে পাওয়া যায় লোন।


গোল্ড লোন যেভাবে নেয়, ঠিক সেই ভাবেই মিউচুয়াল ফান্ডকে সিকিওরিটি হিসাবে রেখে লোন নেওয়া যায়। একে বলা হয় মিউচুয়াল ফান্ড লোন। এই লোনে মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগের পরিমাণ অক্ষত থাকে। এই লোন এক প্রকার সিকিওর্ড লোন। ফলে, এই লোনের ক্ষেত্রে সুদের হার খুব বেশি হয় না। আর এখানেই পার্সোনাল লোনের সঙ্গে এই লোনের পার্থক্য।

আরও পড়ুন: এসআইপি-তে ৫ কোটি টাকা কতদিনে পাবেন, রইল বিস্তারিত হিসেব


যেহেতু পার্সোনাল লোন একপ্রকার আনসিকিওর্ড লোন, সেই কারণে এই লোনে সুদের হার অনেকটা বেশি। সেই তুলনায় মিউচুয়াল ফান্ড লোনে সুদের হার অনেকটা কম। মাসিক ১ শতাংশ বা তারও কম সুদের হারে এই লোন পাওয়া যায়। দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্ক এই ধরনের লোন দিয়ে থাকে। এ ছাড়াও বিভিন্ন এনবিএফসি বা নন-ব্যাঙ্কিং ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানিও এই লোন দিয়ে থাকে।


এই ধরনের লোনে একটি ঝুঁকি অবশ্য রয়েই যায়। যদি লোন নেওয়ার পর মিউচুয়াল ফান্ডের ভ্যালু কমে যায়। তেমন হলে ৬ দিনের মধ্যে সেই পরিমাণ ঋণ মিটিয়ে দিতে পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।