কোনও হোটেল কিংবা হোম স্টে বুক করার সময়ে সবচেয়ে বেশি কোন বিষয়টি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে? লোকেশন? রুমের ভিউ? ফ্রি ওয়াইফাই? নাকি বাহারি খাবার সাজানো বাফেট? হ্যাঁ, এসবই হোটেল পছন্দ হওয়ার মাপকাঠি হয় বই কী! তবে সব  কিছুর মাঝে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অনেকেই উপেক্ষা করে যান, তা হল নিরাপত্তা। আপনি সোলো ট্রাভেল করুন কিংবা পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে যান অথবা ওয়ার্ক ট্রিপ, সবেতেই হোটেলের নিরাপত্তা ঠিক না থাকলে বিপত্তি আসতে পারে। আচমকা অচেনা জায়গায় গিয়ে নষ্ট হতে পারে মনের শান্তি। তাই হোটেল বুকিংয়ের সময়ে নিরাপত্তার বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা জরুরি। 

* সামর্থ্যের মধ্যে সঠিক নির্বাচনঃ গবেষণায় দেখা গিয়েছে, একটু বেশি বাজেটের হোটেলগুলোতে নিরাপত্তা বেশি থাকে। কিন্তু যদি আপনার বাজেট সীমিত হয়, তাহলে খানিকটা সময় নিয়ে যাচাই করে হোটেল বুকিং করুন। চাইলে যে জায়গায় যাচ্ছেন, সেখানকার গুগল ম্যাপ স্যাটেলাইট এবং রাস্তার অবস্থান দেখে নিন। এক্ষেত্রে অনেক সময়ে রিভিউও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। তবে দামি হোটেল মানেই যে সবসময়ে নিরাপত্তা ঠিক থাকবে এমনটা নয়।  

আরও পড়ুনঃ রোগবালাই দূরে রাখতে তামার পাত্রে জল খান? ব্যবহারে এই সব ভুল করলেই সাড়ে সর্বনাশ! উপকারের বদলে 'বিষ' যাবে শরীরে

* লক চেক করুনঃ হোটেলে ঘুম থেকে ওঠার পর প্রথমেই দরজার লক চেক করুন। দরজা ঠিকমতো আটকাচ্ছে কিনা দেখে নিন। জানলার নিরাপত্তাও দেখুন। হোটেলের রুম লক করার ব্যবস্থায় যেন খামতি না থাকে সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন। 

* লুকানা ক্যামেরাঃ আজকাল প্রায়ই হোটেলের রুমে ক্যামেরা লুকিয়ে রাখার খবর শিরোনামে উঠে আসে। তাই রুমে ঢুকে প্রথমেই বিষয়টি দেখতে ভুলবেন না। বিশেষ করে ঘড়ি, টিভি, স্মোক ডিটেকটরের মতো কিছু জায়গায় সন্দেহজনক কিছু মনে হলে এড়িয়ে যাবেন না। সেক্ষেত্রে ফোনের ফ্ল্যাশলাইট জ্বেলে কোনও অতিদ্রুত লেন্স কিংবা অস্বাভাবিক প্রতিবিম্ব খুঁজতে পারেন। লুকোনো ক্যামেরা খুঁজতে কিছু অ্যাপও রয়েছে। 

* আপৎকালীন দরজাঃ আপনার রুমের কতটা দূরে আপৎকালীন এক্সিট রয়েছে আগেই দেখে রাখুন। শুধু তাই নয়, রুমের বাইরে দরজার কোথা দিয়ে সিড়ি রয়েছে তাও দেখে রাখুন। তাহলে যে কোনও আপৎকালীন অবস্থায় বিপদে পড়বেন না। 

* হোটেলের প্রাথমিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাঃ হোটেলের কিছু প্রাথমিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে। যা আপনি রুমে যাওয়ার আগেই দেখে রাখুন। যেমন- সিসিটিভি, আধুনিক লক, ইন-রুম সেফ, কি কার্ড, সাধারণ জায়গায় উজ্জ্বল আলো। 

* ডিজিটাল সুরক্ষাঃ হোটেল সুরক্ষিত হলেও পাবলিক ওয়াইফাই নাও হতে পারে। মনে রাখবেন, হ্যাকাররা অসুরক্ষিত নেটওয়ার্কে বিপদ ডেকে আনে, তাই সবসময়ে ভিপ্যান ব্যবহার করুন। এটি আপনার তথ্য সুরক্ষিত রাখবে। 

* শৌচাগারে নিরাপত্তাঃ শুধু রুম নয়, শৌচাগারেও হতে পারে বিপদ। বাথরুমে স্লিপারি মেঝে থেকে গিসারে গরম জলের সমস্যা, সবই প্রথমে যাচাই করে নিন। 

* সন্দেহ হলেই যাচাই করুনঃ হোটেলের কোনও কিছুতে যদি সন্দেহ হয় যেমন রুম, কর্মী, পরিবেশ, তাহলে প্রথমেই বলুন। আপনার কাউকে ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। মনে রাখবেন, সবকিছুর থেকে আপনার স্বাচ্ছন্দ্যই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।