আজকাল ওয়েবডেস্ক: ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টের ফাইনাল দিন বেন স্টোকসের আচরণের কড়া সমালোচনা করেন মহম্মদ কাইফ। তিনি মনে করেন, রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে মাঠে ঝামেলার পর যাবতীয় সম্মান খুইয়েছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক। ওয়াশিংটন সুন্দর এবং রবীন্দ্র জাদেজা যখন শতরানের কাছাকাছি, তখন এই ঘটনা ঘটে। জেতা ম্যাচ হাতছাড়া হওয়ার কথা মেনে নিতে পারেননি স্টোকস। জাদেজার দিকে এগিয়ে হাত মেলাতে চান। টেস্ট ড্রয়ের ইঙ্গিত দেন। কিন্তু হাত মেলাননি ভারতীয় অলরাউন্ডার। ব্যাট করতে থাকেন। সাধারণ বাক্যালাপ কথাকাটাকাটির পর্যায় পৌঁছে যায়। দুই ভারতীয় ব্যাটারের ফোকাস নষ্ট করার চেষ্টা করে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। কিন্তু তাতে সফল হয়নি স্টোকসের দল। দিনের শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ভারতের রান ছিল ৪২৫। ১১৪ রানে এগিয়ে ছিল। ১০৭ রানে অপরাজিত থাকেন জাদেজা। ১০১ রানে ওয়াশিংটন। জাদেজা এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে ২০৩ রানের পার্টনারশিপ ইংল্যান্ডের থেকে ম্যাচ কেড়ে নেয়।
কাইফ মনে করছেন, উইকেট নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা না করে, গা ছাড়া মনোভাব দেখায় ইংল্যান্ড। তারই খেসারত দিতে হয়েছে। ইংল্যান্ডের হাত থেকে ম্যাচ বেরিয়ে যাওয়ার সময় খেলা বন্ধ করার চেষ্টা করেন স্টোকস। এই প্রসঙ্গে কাইফ বলেন, 'বেন স্টোকস আগাম খেলা বন্ধ করার চেষ্টা করার সময় ওর প্রতি শ্রদ্ধা হারিয়ে যায়। ভারতীয় দলকে অলআউট করার জন্য প্রায় দু'দিন সময় পেয়েছিল ইংল্যান্ড। তোমরা জিততে পারোনি। হ্যান্ডশেক করতে চেয়ে কী প্রমাণ করতে চাইছিল?' স্টোকসের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন ভারতের প্রাক্তনী। কিন্তু পাশাপাশি জানান, ইংল্যান্ডের অধিনায়কের কার্যকলাপ তাঁর সম্মান কেড়ে নিয়েছে। কাইফ বলেন, 'সম্মান এবং শ্রদ্ধা অর্জন করতে বহু বছর লেগে যায়। কিন্তু নষ্ট হতে এক মিনিট লাগে। এটা বেন স্টোকসের সেই মুহূর্ত ছিল।'
পঞ্চম তথা শেষ টেস্টের আগে ইংল্যান্ড দলে পরিবর্তন হচ্ছে। ফেরানো হল চেন্নাই সুপার কিংসের অলরাউন্ডারকে। ওভাল টেস্টের পর ১৫ জনের দলে ডাকা হল জেমি ওভার্টনকে। বৃহস্পতিবার ওভালে শুরু শেষ টেস্ট। ২০২২ সালে শেষবার লাল বলের ক্রিকেটে দেখা যায় ৩১ বছরের ইংলিশ অলরাউন্ডারকে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে লিডসে টেস্ট অভিষেক হয় ওভার্টনের। ৯৭ করার পাশাপাশি জোড়া উইকেট নেন। গত আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে তিনটে উইকেট নেন ইংল্যান্ডের পেসার। দু'দিন পরই শুরু ওভাল টেস্ট। পঞ্চম টেস্টে ইংল্যান্ড দলে একটিই পরিবর্তন হচ্ছে। ওভালে জিতে সিরিজে সমতা ফেরাতে মরিয়া থাকবেন গিলরা।
