আজকাল ওয়েবডেস্ক: লর্ডস টেস্ট হারল কেন ভারত? কেউ বলছেন রবীন্দ্র জেদাজের মরিয়া লড়াই কাজে এল না। কেউ আবার বলছেন, আরেকটু আগ্রাসী হতে পারতেন জাদেজা। কিন্তু জস বাটলার বলছেন, ওয়াশিংটন সুন্দরের মন্তব্য তাতিয়ে দিয়েছিল ইংল্যান্ডকে। সুন্দর ও বাটলার আইপিএলের গুজরাট টাইটান্সের হয়ে খেলেছেন।
ওয়াশিংটন সুন্দর বলেছিলেন, ''অবশ্যই ভারত জিতবে। লাঞ্চের পরেই ভারত জিতবে। আমরা শান্ত। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে খেলতে নামবো আমরা। আমাদের ড্রেসিং রুমে দুর্দান্ত কিছু ব্যাটার রয়েছে।''
বাটলার বলছেন, ''সুন্দরের ওই ইন্টারভিউ তাতিয়ে দিয়েছিল ইংল্যান্ড শিবিরকে।'' ওয়াশিংটন সুন্দর যখন ব্যাট করতে নামেন, তখন ব্যালকনি থেকে ম্যাকালাম বলছিলেন, ''এই ছেলেটাই তো বেশি কথা বলছিল।''
আরও পড়ুন: ভারতের সাজঘরে চিন্তার মেঘ, চতুর্থ টেস্টে কি দুই তুরুপের তাসকে পাবেন গিল?
সুন্দরকে ফেরান আর্চার। তার পরে নীতীশ রেড্ডি লড়লেন। কিন্তু লাঞ্চের ঠিক আগে ফিরে গেলেন নীতীশ রেড্ডি। তার পরে জশপ্রীত বুমরাহ ও মহম্মদ সিরাজ প্রবল লড়লেও ভারতকে জেতাতে পারেননি।
রবীন্দ্র জাদেজার মরিয়া লড়াই প্রশংসিত হচ্ছে। কিন্তু ভারতের প্রাক্তন উইকেট কিপার-ব্যাটার সুরিন্দর খান্না মনে করেন রবীন্দ্র জাদেজার আরেকটু আগ্রাসী মনোভাব দেখানো উচিত ছিল।

লর্ডসে ভারত ২২ রানে হেরে সিরিজে পিছিয়ে পড়ে। রান তাড়া করতে নেমে ভারতীয় ব্যাটাররা নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারলেন না। জশপ্রীত বুমরাহ ও মহম্মদ সিরাজকে নিয়ে লড়েছিলেন জাদেজা। তবুও ভারতকে জয় এনে দিতে পারেননি তিনি।
সুরিন্দর খান্না বলেন, জাদেজা এই ইনিংস কেউ মনে রাখবেন না। কারণ নায়কদের কথাই সবাই মনে রাখেন।
জাদেজা চিরকাল পার্শ্ব চরিত্র হয়েই থাকেন। নায়কের সম্মান তাঁর জোটে না। তিনি লড়েন কিন্তু শেষ হাসি তাঁর জন্য তোলা থাকে না।
সুরিন্দর খান্নার মতো ব্যক্তিত্ব বলেন, ''আমাদের এমন কোনও ব্যাটার নেই যে টেলএন্ডারদের সঙ্গে ব্যাট করতে পারে। ও যখন সেট হয়ে গিয়েছিল, তখন আরও রান করতেই পারত। বল যখন নরম হয়ে গিয়ছিল, তখন বুমরাহ, সিরাজ রান করতে পারছিল না। এই সময়ে জাদেজা ম্যাচ জিতিয়ে নায়ক বনে যেতে পারত। মানুষ কিন্তু ভুলে যাবে জাদেজার এই ইনিংস।''

লর্ডস টেস্ট এক ইনিংসে ফয়সলা হয়েছে। প্রথম ইনিংসে দুটি দলই ৩৮৭ রান করে। দ্বিতীয় ইনিংস পার্থক্য গড়ে দিল। সুরিন্দর খান্না বলেন, ''এই স্কোর জটিল। যখন স্কোর বেশি হয়, তখন খেলোয়াড়রা সতর্ক থাকে। ইংল্যান্ডকে কৃতিত্ব দেওয়া উচিত। ওরা আর্চারকে এনে নিজেদের পরিকল্পনা সফল করে। উভয় পক্ষের কাছ থেকে নেওয়ার মতো খুব কমই জিনিস ছিল।''
লর্ডসে জাদেজা নিজের সেরাটা দিয়েছিলেন। ব্যবধানও কমিয়ে আনেন। কিন্তু দিনটা যে তাঁর ছিল না। শোয়েব বশিরের বলটা খেলার পরে সিরাজের বেল ফেলে দিল। হতাশায় মূহ্যমান হয়ে পড়েন সিরাজ। ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা এসে সান্ত্বনা দেন সিরাজকে।
চলতি মাসের ২৩ তারিখ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে হবে চতুর্থ টেস্ট। চাপে ভারত। সিরিজে ঘুরে দাঁড়াতে হলে ভারতকে চতুর্থ টেস্ট ম্যাচ জিততেই হবে। ভারত কী করে সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন: লর্ডস হারের পর টিম ইন্ডিয়াকে কটাক্ষ, এই তারকাকে ভিলেনের আসনে বসালেন সানি
