আজকাল ওয়েবডেস্কঃ আজকাল অল্পবয়সিরাও ব্লটিং বা পেটফাঁপার শিকার। অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া, এক্সারসাইজের অভাবের কারণে ইদানীং গ্যাস, অম্বল সহ পেটফাঁপায় ভুক্তভোগী আট থেকে আশি। পাচন প্রক্রিয়ায় গণ্ডগোলের সঙ্গে ব্লটিংয়ের সমস্যার যোগসূত্র রয়েছে। যা দীর্ঘদিন  সাধারণ সমস্যা ভেবে উপেক্ষা করা মোটেও ঠিক নয়। পেটে গ্যাস জমে গেলে বা পেট ফুলে গেলে ব্লটিং হয়। যার পিছনে গ্যাস ছাড়াও থাকতে পারে আরও অনেক জটিল কারণ। 

* ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (আইবিএস)ঃ পেটফাঁপার কারণগুলির মধ্যে অন্যতম ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (আইবিএস)। এটি অন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা। এই রোগে আক্রান্ত হলে বারবার পেট ফাঁপা, গ্যাস, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হতে পারে। আইবিএসের কোনও একটি কারণ থাকে না। তবে মানসিক চাপ, ভুল খাদ্যাভ্যাস, ঘুমের অভাব এবং হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এর কারণ হতে পারে। আইবিএস থাকলে খাওয়ার পরপরই পেট ফাঁপা অনুভূত হতে পারে এবং এই অবস্থা কখনও কখনও অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে। 

 

আরও পড়ুনঃ লিভারের বারোটা বাজলে মুখেও ফুটে ওঠে লক্ষণ! কোন কোন উপসর্গ অবহেলা করলেই অকালে হারাবেন প্রাণ

 

* ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা অর্থাৎ শরীর দুধ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্য ঠিকমতো হজম করতে না পারলে পেট ফুলে যেতে পারে। আসলে, ল্যাকটোজ হল দুধে পাওয়া এক ধরণের চিনি যা হজম করার জন্য ল্যাকটেজ নামক একটি উৎসেচকের প্রয়োজন হয়। যদি এই উৎসেচক শরীরে তৈরি না হয়, তাহলে দুধ পান করার পর পেট ফাঁপা, পেট ব্যথা, ডায়রিয়া বা গ্যাসের মতো সমস্যা দেখা দেয়। এদেশের অনেক মানুষই এই সমস্যা সম্পর্কে জানেন না। ফলে তাঁরা স্বাভাবিক গ্যাস ভেবে উপেক্ষা করে থাকেন।

* লিভার সম্পর্কিত যে কোনও রোগ যেমন ফ্যাটি লিভার বা লিভার সিরোসিস হলেও পেট ফুলে যাওয়ার সমস্যা হতে পারে। লিভারের কার্যকারিতা কমে গেলে শরীরে টক্সিন জমা হতে থাকে  এবং পেট জলে ভরে যেতে শুরু করে। যাকে চিকিৎসার পরিভাষায় অ্যাসাইটস বলা হয়। এই অবস্থায় পেট কেবল ফুলে ওঠে না, শক্তও বোধ হয়। এছাড়াও, ক্লান্তি, বমি, খিদে কমে যাওয়া এবং ত্বক বা চোখ হলুদ হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণগুলিও দেখা যায়।

* মহিলাদের ডিম্বাশয়ের সমস্যা যেমন ডিম্বাশয়ের সিস্ট বা পিসিওএসও এই সমস্যার কারণ হতে পারে। যদি কোনও মহিলা প্রতি মাসে পেট ফাঁপার সমস্যা, অনিয়মিত পিরিয়ড, মুখে ব্রণ বা ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন তাহলে এগুলো ডিম্বাশয়ের পরিবর্তন বা হরমোনের ভারসাম্যহীনতার লক্ষণ হতে পারে। সিস্ট পেট ফোলা হওয়ার পাশাপাশি পেটে ভারীভাব এবং ব্যথার কারণ হতে পারে।

কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন 

যদি পেট ফুলে যাওয়ার সঙ্গে খিদে কমে যাওয়া, বমি, হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া বা পেটে শক্ত অনুভূতির মতো ক্রমাগত সমস্যায় ভোগেন তাহলে  অবহেলা করা উচিত নয়। এটি কেবল গ্যাস নয়, বরং কোনও গুরুতর রোগের লক্ষণ হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে ডাক্তারের পরামর্শে পরীক্ষা করে নেওয়া প্রয়োজন। পেট ফাঁপার সমস্যা হলে প্রোবায়োটিকে পরিপূর্ণ খাবার খেলে স্বস্তি পাবেন।