আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ ভারত সফর শেষ। বার্সেলোনা ফিরে গেলেন লিওনেল মেসি। রেখে গেলেন একগুচ্ছ স্মৃতি। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারত সফরের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন ফুটবল জাদুকর। সেই ভিডিওয় লেকটাউনে তাঁর মূর্তি স্থাপন থেকে শুরু করে শচীনের সঙ্গে মুম্বইয়ে সুন্দর মুহূর্ত, দর্শকদের অভিবাদন থেকে শুরু করে ফুটবল পায়ে জাদুকরের কারসাজি। সবই রয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে নেই যুবভারতীর কোনও ছবি। পোস্টে মেসি লিখেছেন, ‘‌নমস্তে ভারত। দিল্লি, মুম্বই, হায়দরাবাদ ও কলকাতায় দুর্দান্ত সফর হল। গোটা সফরে সুন্দর ব্যবস্থাপনা ভাল লেগেছে। আমি আশাবাদী ভারত ভবিষ্যতে ফুটবলে বড় শক্তি হবে। এই গোটা পরিকল্পনাটাই ছিল শতদ্রু দত্তর।’‌ 


এটা ঘটনা, গত শনিবার মেসি দর্শন নিয়ে যুবভারতীতে যে কাণ্ড ঘটেছে তারপর থেকে পরিস্থিতিটাই যেন বদলে গেছে। সম্ভবত সে কারণেই হয়ত মেসির পোস্ট করা ভিডিওয় যুবভারতী জায়গা পায়নি। শুধু মূর্তি স্থাপনের মুহূর্তই জায়গা পেয়েছে। বাকিটা পুরো দিল্লি, হায়দরাবাদ ও মুম্বইয়ের অনুষ্ঠান জায়গা পেয়েছে। 
মুম্বইয়ের অনুষ্ঠানের যেমন ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শচীন তেন্ডুলকারের সঙ্গে তাঁর কথা বলার মুহূর্ত জায়গা পেয়েছে ভিডিওয়। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের ছোট ছোট ঘটনাও মেসির ভিডিওয় জায়গা পেয়েছে। এছাড়াও মাঠের বাইরের একাধিক ঘটনাও জায়গা পেয়েছে ভিডিওয়। গত সোমবারই মেসি দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ‘‌এই ভালবাসা সঙ্গে নিয়েই ফিরে যাচ্ছি। কথা দিচ্ছি আমরা ফের অবশ্যই আসব। কোনও একদিন অন্য কোনও উদ্দেশ্য থাকবে। একটা ম্যাচও খেলব। এটুকু বলতে পারি এই দেশে আবার ফিরব। সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।’‌


বাকি সব ঠিক থাকলেও মেসির সফরের শুরুটাই যেন তাল কেটে দিয়েছিল। যুবভারতীতে মেসি ঢোকার কিছুক্ষণ পরেই বিশৃঙ্খলার শুরু। মেসিকে ভালভাবে দেখতে না পেয়ে দর্শকরা ক্ষিপ্ত হয়ে যান। মাঠেই জলের বোতল ছুঁড়তে থাকেন। গ্যালারির চেয়ার ভেঙে মাঠে ছুঁড়ে ফেলা হয়। মেসি আর মাঠে থাকেননি। বেরিয়ে যান। এরপরেই মাঠের ‘‌দখল’‌ নেন দর্শকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।


ঘটনায় কারা দায়ী তা জানতে তিন সদস্যের কমিটি গড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। ইতিমধ্যে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস অব্যাহতি নিয়েছেন। 

এই যখন পরিস্থিতি, তখন এল মেসির এই বার্তা। যেখানে তিনি যুবভারতীর নাম উল্লেখই করলেন না।