আজকাল ওয়েবডেস্ক: সম্প্রতি হায়দ্রাবাদে একটি গাঁজা বিতরণ নেটওয়ার্কের অভিযান চালান হয়৷ নতুন চালু হওয়া এলিট অ্যাকশন গ্রুপ ফর ড্রাগ ল এনফোর্সমেন্ট (EAGLE) এই অভিযানটি চালায় । খবর অনুযায়ী, ১৪ জনকে গাঁজা কিনতে আটক করতে সক্ষম হয়। এহেন অবস্থায় আশ্চর্যজনকভাবে এক দম্পতি তাঁদের ৪ বছরের শিশুকে নিয়ে মাদক কিনতে এসে ধরা পড়ে। খবর ছড়িয়ে পড়তে চাঞ্চল্য চারিদিকে। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এলিট অ্যাকশন গ্রুপ চলতি মাসে তাদের অভিযানে ১৪ জনকে হাতেনাতে পাকড়াও করেছে। অভিযুক্তরা গাঁজা কিনতে গিয়ে ধরা পড়ে বলে অভিযোগ। খবর অনুযায়ী এক দম্পতি তাঁদের বছর চারের শিশুকে নিয়ে মাদক কিনতে গিয়ে ধরা পড়ে। ঘটনার জেরে দম্পতিকে জেরা করা হয়। এরপর তাঁদের শারিরীক পরীক্ষা করা হয় খবর। জানা গিয়েছে, মা ও শিশুকে মাদকদ্রব্য বিষয়ক কর্মকর্তারা গ্রেপ্তার করেননি। তবে গাঁজা সেবন পরীক্ষায় বাবার ফল ইতিবাচক এসছে। 

সূত্রে জানা গিয়েছে শনিবার অর্থাৎ ১২ জুলাই ইএজিএলই (EAGLE) এই অভিযানটি পরিচালনা করে। অভিযুক্তদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও পাশাপাশি পুনর্বাসনের জন্য সার্টিফাইড রিহ্যাবিলিটেশনে (মাদকাসক্তি নিবারণ কেন্দ্র) পাঠানো হয়। 

 

ইএজিএলই (EAGLE) -এর পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট চেন্নুরি রূপেশ বলেছেন যে তাঁরা সন্দীপ নামের এক অভিযুক্তকে অনুসরণ করছে। খবর অনুযায়ী সন্দীপকে বারবারই এই মাদক সংক্রান্ত চক্রান্তে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সে গাছিবাউলি এলাকায় গাঁজা বিক্রি করছিল বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সন্দীপ আইটি সেক্টর এবং অন্যান্য বিভিন্ন বেসরকারি সেক্টরের কর্মীদের কাছে গাঁজা বিক্র করত। 

ইউনিট কর্তৃক সংগৃহীত তথ্য অনুসারে, সন্দেহভাজন যুবক প্রায় ১০০টি প্যাকেট গাঁজা বিক্রি করছিল। সবমিলিয়ে আনুমানিক ৫ কেজি গাঁজা ছিল বলে জানা গিয়েছে৷ প্রতিটি প্যাকেটের ওজন ছিল ৫০ গ্রাম। জানা গিয়েছে, মাদক বিক্রেতার কাছে একটি ডাটাবেস ছিল। এতে প্রায় ১০০ জনেরও বেশি গ্রাহকের যোগাযোগ নম্বর ছিল।

আরও পড়ুনঃ ট্রেন যাতায়াতে আর ভয় নেই! এবার যাত্রী নিরাপত্তায় ভারতীয় রেলের বড় পদক্ষেপ, জানুন

সংবাদমাধ্যম সূত্রে মারফত মাদক বিক্রেতা এবং গ্রাহকদের ধরতে ইএজিএলই ( EAGLE) অফিসাররা সাদা পোশাক পরে শনিবার একটি ব্যাংকের কাছে দাঁড়িয়েছিলেন। এরপর মাত্র দুই ঘন্টার মধ্যে, তাঁরা গাঁজা কিনতে আসা ১৪ জনকে ধরতে সক্ষম হন। খবর অনুযায়ী, প্রস্রাব পরীক্ষায় ধরা পড়া ১৪ জনের সকলেরই গাঁজার জন্য ইতিবাচক ফল এসছে। এদের মধ্যে ৪ বছরের শিশুর সঙ্গে আসা অভিযুক্ত দম্পতির পাশাপাশি আরও এক দম্পতিকেও গাঁজা কিনতে ধরে এলিট গ্রুপ।

সন্দীপ কোনওরকমে পালাতে সক্ষম হয়েছে। ইএজিএলই'র দলগুলি এখন গ্রাহকদের ফোনে পাওয়া হোয়াটসঅ্যাপ যোগাযোগ লগ, ফোন নম্বর এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্রমাণ তদন্ত করছে। 'আমরা ডাটাবেসে থাকা বাকি ৮৬ জনকে ইএজিএলই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার আগে স্বেচ্ছায় আসক্তিমুক্তির চিকিৎসা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি,' সিনিয়র পুলিশ অফিসার বলেন।

ইএজিএলই অফিসাররা এখন আইটি হাবকে মাদকমুক্ত রাখতে লক্ষ্যবস্তু অভিযান চালাচ্ছে। একই সঙ্গে কড়া নজরদারি চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। বর্তমানে পুলিশ কর্মকর্তারা মাদক ও গাঁজা প্রতিরোধের জন্য জনগণকে আহ্বান জানিয়েছেন। প্রত্যেক অভিভাবকদের তাঁদের সন্তানদের কার্যকলাপের দিকে নজর রাখতে বলেছেন।