আজকাল ওয়েবডেস্ক: তাঁকে নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা বিশ্বে। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসাবে উঠে আসছে তাঁর নাম। জানেন, ধনকুবের ইলন মাস্কের শিক্ষাগত যোগ্যতা কী।

 

সম্প্রতি মাইক্রো ব্লগিং সাইট ট্যুইটার কিনে সংবাদের শিরোনামে চলে এসেছেন ইলন মাস্ক। ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ট্যুইটার কেনার চুক্তি হয়েছে মাস্কের সঙ্গে। আপনি কি জানেন, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক কতটা শিক্ষিত।


ইলন মাস্কের জীবনপঞ্জি বলছে, ১৯৭১ সালের ২৮  জুন জন্মগ্রহণ করেন মাস্ক। মাস্কের বাবা, এরোল মাস্ক, একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ছাড়াও পাইলট ছিলেন। তার মা মে মাস্ক ছিলেন একজন ডায়েটিশিয়ান। ইলনের যখন ১০  বছর বয়স, তখন তাঁর বাবা-মায়ের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। পরবর্তীকালে ইলন তার বাবার সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। 


দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে তার প্রাথমিক পড়াশোনা। ১০ বছর বয়সে কম্পিউটারের প্রতি তাঁর আগ্রহ জন্মায় মাস্কের। সেই সময় তিনি কমোডোর ভিআইসি -২০ ব্যবহার করে কম্পিউটিং শুরু করেন। নিজের মেধা ও অধ্যাবসায়ের জোরে অল্প বয়সেই কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শিখে ফেলেছিলেন মাস্ক। মাত্র ১২ বছর বয়সে একটি ভিডিও গেমের কোড তৈরি করেছিলেন ইলন। পরে যা প্রায় ৫০০ ডলারে বিক্রি করেছিলেন। সেই থেকেই সরস্বতীর ওপর ভরসা করে তাঁর লক্ষ্মীপ্রাপ্তি শুরু।


ইতিমধ্যেই ট্যুইটারের ব্যাবস্থাপক কমিটি নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন মাস্ক। ইলন জানিয়ে দিয়েছিলেন, ট্যুইটারের ম্যানেজমেন্টের ওপর তাঁর কোনও আস্থা নেই। এখনও পর্যন্ত মাইক্রো ব্লগিং প্লাটফর্মকে সেভাবে লাভের মুখ দেখাতে পারছেন না আগরওয়াল। সেই কারণেই ট্যুইটার ইলন মাস্কের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বোর্ড অফ ডিরেক্টরস।


বর্তমানে সারা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম খ্যাতনামা একজন শিল্পপতি হয়ে উঠেছেন ইলন মাস্ক। ব্যবসায়িক জীবনে বিপুল সাফল্যের দেখা পেয়েছেন এই ব্যক্তি। স্পেসএক্স থেকে শুরু কর টেসলা, তাঁর অধিকাংশ ব্যবসাই বর্তমানে সাফল্যের চূড়ায় অবস্থান করছে। তবে, তাঁর এই ব্যবসায়িক সাফল্যর পথ একেবারেই সহজ ছিল না। তিনিও সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছানোর ক্ষেত্রে একাধিক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে এসেছেন। 


প্রসঙ্গত, গত বছর প্রকাশিত হয়েছিল ওয়াল্টার আইজ্যাকসনের লেখা বই ‘ইলন মাস্ক’। লঞ্চের পরেই কার্যত তাক লাগিয়ে দিয়েছিল এই বইটি। এই বইটিতে ইলন মাসের জীবনের নানা জানা অজানা তথ্য প্রকাশ্যে উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে তাঁর জীবন সংগ্রামের বিষয়েও। একসময় তাকে নিজেরই একটি বহু বছরের পুরানো উদ্যোগ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। বইয়ের একটি অংশে এমনই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এই বিষয়ে নিজেই জানিয়েছেন টেলসার প্রতিষ্ঠাতা।

আরও পড়ুন: খাবারে আর থাকবে না পুষ্টিগুণ, অশনি সঙ্কেত দিলেন গবেষকরা


PayPal –এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসারে পদের দায়িত্বে ছিলেন ইলন মাস্ক। এটি একটি আমেরিকান মাল্টিন্যাশনাল ফিনান্সিয়াল টেকনোলজি কোম্পানিটি। সংস্থাটি গ্রাহকদের অনলাইনে আর্থিক লেনদেনের পরিষেবা অফার করছে। সেই সময়ে এই সংস্থাটির চিফ এক্সিকিউটিভের পদে ছিলেন ইলন মাস্ক। 


২০০০ সালে টেসলার মালিক কে সংস্থাটির সিইওর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। হঠাৎই ইলন মাস্ককে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। দ্য নিউ ইয়র্ক পোস্টের তথ্য অনুসারে, আইজ্যাকশন বইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, এই অকস্মাৎ অপসারণের পিছনে ছিলেন সিলিকন ভ্যালির বিনিয়োগকারী পিটার থিয়েল, সহ প্রতিষ্ঠাতা ম্যাক্স লেভচিন, বোর্ড সদস্য রিড হফম্যান এবং কোম্পানিটির সিওও এবং পণ্য বিভাগের লিডার ডেভিড ড্যাকস।