আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইজরাল ইরান যুদ্ধের মাঝে ঢুকে পড়েছে মার্কিন মুলুক। প্রথমে ইরানকে আপোস বার্তা, পরে দুই দেশের মধ্যস্থতা করে জোর পূর্বক যুদ্ধবিরতি। এসবের মাঝেই আরও এক পদক্ষেপ আমেরিকার, ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের মাঝেই ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালায় আমেরিকা। আমেরিকা বরাবর ইরানের পরমাণু বোমা তৈরির বিরোধিতা করে এসেছে। হামলার পরেই খোদ ট্রাম্পের মুখে এই কথা শোনা যায়।
এবার একেবারে তাঁকে সরাসরি হুমকি হত্যা! সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রাক্তন প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ-জাওয়াদ লারিজানি বলেছেন, হতেই পারে, যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো প্রাসাদে সানবাথের সময় ইরানের ড্রোণ দ্বারা আক্রান্ত হলেন। তাঁর মতে, এই প্রক্রিয়াটি বেশ সহজ। ট্রাম্প এমন কিছু করেছেন যার ফলে তিনি আর মার-এ-লাগোতে সানবাথ নিতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: বড় পদক্ষেপের পথে ইরান, ইজরায়েল-আমেরিকার সঙ্গে যুদ্ধের পরই বিরাট পরিকল্পনা তেহরানের!...
মোহাম্মদ-জাওয়াদ লারিজানির এই মন্তব্যের পরেই সামনে আসছে ২০২০ সালের একটি ঘটনা। সেবছর, ট্রাম্প ইরানের মেজর জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আমেরিকার ড্রোণ হামলায় নিহত হন তিনি।
যদিও এই ধরনের হত্যা-হুমকি ইরান থেকে আসার পর, ফক্স নিউজের একটি সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের সামনেই এই প্রসঙ্গের উত্থাপন করা হয়। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট গোটা ঘটনায় একেবারেই কর্ণপাত করেননি। বেশ তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে পরিস্থিতি হালকা করে দেন এক ঝটকায়। ওই সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, অনুষ্ঠানের উপস্থাপক পিটার ডুসি তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তিনি শেষ ‘সানবাথ’ নিয়েছিলেন?
ট্রাম্প বেশ ভেবে বলেন, সে বহু বছর আগের কথা। তিনি তখন বেশ কমবয়সী ছিলেন। সম্ভবত তাঁর বয়স ছ’ থেকে সাত বছর। আর ওই বিশেষ জায়গায় গিয়ে সানবাথ নিতে যে তিনি খুব একটা আগ্রহী নন আর, তাও বলেন ওই সাক্ষাৎকারে।

উল্লেখ্য, ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধকালে ১৭ জুন হোয়াইট হাউসের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। প্রশ্ন ধেয়ে যায়? কী ভাবছেন ট্রাম্প? এবার কি যুদ্ধ ইরানের সঙ্গে সরাসরি? আক্রমণ চালাবে পরমাণু ভান্ডারে? ইজরায়েল-ইরান সংঘাতে জড়িয়ে পড়বে আমেরিকা। ট্রাম্প প্রাথমিকভাবে জানান, তা আমি বলতে পারি না। তারপরেই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বলেন, 'করতেও পারি, না ও করতে পারি।' অর্থাৎ তিনি কী করতে চলেছেন তা কেউ জানে না। এক সপ্তাহে পরিস্থিতি বদলে যাবে বলেও সেদিন জানিয়েছিলেন তিনি।
তবে আর এক সপ্তাহ অপেক্ষা করেননি। ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালায় আমেরিকার বাহিনী। ইরানের ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহানে অবস্থিত তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে আমেরিকার সেনাবাহিনী হামলা চালায়। হামলার পরে ট্রাম্প নিজে জানান, হামলা হয়েছে সফলভাবেই। ১৯৭৯ সালের ইরানি বিপ্লবের পর এই প্রথম, ইরানে ঢুকে হামলা চালাল আমেরিকা।
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন বাহিনীর হামলার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপুল প্রশংসা করেছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছিলে, ট্রাম্পের এই সাহসী সিদ্ধান্ত বদলে দেবে ইতিহাস। শান্তির জন্য ট্রাম্প নোবেলের দাবিদার বলেও তিনি জানিয়েছেন দিন কয়েক আগে। নোবেল কমিটিত কাছে এই মর্মে নিজের প্রস্তাবও পাঠিয়েছেন নেতানিয়াহু।
