আজকাল ওয়েবডেস্ক: কারা বেশি হাসেন? পুরুষ না মহিলা? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েছিলেন গবেষকরা। আর তাতেই প্রকাশ্যে এসেছে এক চমকপ্রদ তথ্য। সমীক্ষা বলছে, হাসির দৌড়ে পুরুষদের থেকে কয়েক যোজন এগিয়ে মহিলারা। তবে এই প্রতিযোগিতায় নারী-পুরুষ সকলকে পিছনে ফেলে দিয়েছে সদ্যোজাত শিশুরা।
সাম্প্রতিক এক গবেষণা অনুযায়ী, একটি শিশু দিনে গড়ে প্রায় ৪০০ বার হাসে। সেখানে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা দিনে গড়ে ৬২ বার হাসেন। কিন্তু পুরুষদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটি অত্যন্ত কম। একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ দিনে মাত্র ৮ বার হাসেন! অর্থাৎ, মহিলাদের চেয়ে পুরুষরা প্রায় সাত গুণ কম হাসেন।
কিন্তু হাসিতে কেন এই বিরাট পার্থক্য? গবেষকদের মতে, এর নেপথ্যে জৈবিক এবং সামাজিক উভয় কারণই রয়েছে। মহিলাদের মুখের পেশি সঞ্চালনের ক্ষমতা পুরুষদের তুলনায় বেশি হয়। তাই তাঁরা সহজে হাসতে পারেন। পাশাপাশি এর সঙ্গে যোগ হয় সামাজিক অনুশাসন। ছোটবেলা থেকেই মেয়েদের আবেগ প্রকাশে বেশি স্বতঃস্ফূর্ত হতে শেখানো হয়। অন্যদিকে, পুরুষদের উপর ভাবগাম্ভীর্য বজায় রাখার একটি সামাজিক চাপ থাকে।
শিশুদের অফুরন্ত হাসির উৎস অবশ্য একেবারেই ভিন্ন। পারিপার্শ্বিক ইতিবাচক উদ্দীপনার প্রতি তাদের স্বাভাবিক ও স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়াই হল এই অনাবিল হাসির কারণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হাসি কেবল মন ভাল রাখার টনিক নয়, এটি সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করার অন্যতম চাবিকাঠিও। হাসি মানসিক চাপ কমায় এবং অন্যের সঙ্গে সম্পর্ক সহজ করে তোলে। তাই লিঙ্গ বা বয়সের অঙ্ক না কষে, একচিলতে হাসিতেই শুরু হোক আপনার দিন।