আজকাল ওয়েবডেস্ক: যাঁরা নিরামিষ খাবার খান, অনেক সময়ই তাঁদের ডায়েটে প্রোটিনের ঘাটতি থেকে যায়। কারণ নিরামিষ খাবারে কার্বোহাইড্রেট প্রচুর পরিমাণে থাকলেও প্রোটিনের পরিমাণ থাকে সীমিত। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে মাশরুম। মাশরুম যেমন সুস্বাদু, তেমনই পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি খাদ্য। নিরামিষভোজীদের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী, কারণ এতে রয়েছে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা সাধারণত প্রাণীজ উৎসেই মেলে।
১. প্রোটিনের ভাল উৎস
মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে, যা শরীরের কোষ গঠন, মাংসপেশি মেরামত এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। নিরামিষাশীদের জন্য এটি এক চমৎকার প্রোটিন উৎস।
২. ভিটামিন বি-কমপ্লেক্সে সমৃদ্ধ
মাশরুমে থাকা রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন (বি ৩) ও প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড (বি ৫) শক্তি উৎপাদনে সহায়ক। পাশাপাশি এগুলি স্নায়ুর কার্যকলাপ ঠিক রাখতে এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৩. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের খনি
মাশরুমে থাকে সেলেনিয়াম এবং এর্গোথিওনিন নামক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং ক্যানসার প্রতিরোধেও সহায়তা করে।
৪. ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য সহায়ক
মাশরুমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুবই কম। ফলে ডায়াবেটিস রোগীরা সহজেই এই খাবার খেতে পারেন। পাশাপাশি মাশরুমে প্রচুর ফাইবার থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি উপকারী খাদ্যবস্তু।
৫. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
মাশরুমে প্রাকৃতিক বিটা-গ্লুকান ও কিটিন জাতীয় ফাইবার থাকে, যা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে।