আজকাল ওয়েবডেস্কঃ সারা বছর ধরে চুল পড়ার সমস্যায় নাজেহাল কম-বেশি সকলেই। আজকাল মানসিক চাপ, খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম, রাসায়নিকের ব্যবহার ও দূষণের বাড়বাড়ন্তের জেরে কম বয়সেই চুলের বারোটা বেজে যায়। তবে শুধু যত্নের অভাবই নয়, চুল পড়া অনেক ক্ষেত্রে জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ারও ইঙ্গিত দেয়।
থাইরয়েডঃ থাইরয়েড গ্রন্থি ঠিকভাবে কাজ করলে যেমন কম হরমোন উৎপন্ন হয় অর্থাৎ হাইপোথাইরয়েডিজম হানা দেয়। আবার বেশি হরমোন উৎপাদন হতে পারে, যাকে হাইপারথাইরয়েডিজম বলে। এর ফলে চুল পড়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পলিস্টিক ওভারি সিনড্রম (পিসিএএস)ঃপিসিওএস শরীরে বাসা বাধলে মহিলাদের মধ্যে চুল উঠে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। মুঠো-মুঠো চুল উঠতে থাকে। চুলের বাড়তি যত্ন নিলেও কোনও কাজ হয় না।
আযরনের ঘাটতিঃ রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম হওয়া মানেই চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে। তাই গোছা গোছা চুল উঠতে শুরু করলে, কেবল খুশকির সমস্যা ভাববেন না। রক্তাল্পতার কারণেও এমন হতে পারে।
ভিটামিন ডি-এর অভাবঃ চুল পড়ার সমস্যার একটি অন্যতম কারণ হল ভিটামিন ডি-এর খাটতি। আচমকা চুল পড়া বেড়ে গেলে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা ঠিক আছে কিনা পরীক্ষা করে দেখে নিতে পারেন।
ডায়েবেটিসঃ ডায়াবেটিস হলে শরীরে অনেক রকম বদল আসে। হরমোনের তারতম্য হয়। যার প্রভাব পড়ে চুলেও। টাইপ-২ ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। আসলে ডায়াবেটিস শরীরে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা কমে যায়। সেকারণে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে, চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে।
টেলোজেন এফ্লুভিয়াম (টিই)ঃমানসিক এবং শারীরিক চাপ টেলোজেন এফ্লুভিয়াম নামক একটি অবস্থাকে বাড়িয়ে দেয়। যা চুলের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। যথেষ্ট পরিমাণ স্ট্রেস টেলোজেন এফ্লুভিয়ামে প্রচুর সংখ্যক চুলের ফলিকলকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়।
