আজকাল ওয়েবডেস্কঃ ইদানীং অনিয়মিত জীবনযাপন, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস, শরীরচর্চার অভাব সহ বিভিন্ন কারণে অল্প বয়সেও শরীরে বাসা বাঁধছে কোলেস্টেরল। শরীরে এলডিএল কোলেস্টরল বেড়ে গেলে রক্তনালীতে চর্বি জমতে শুরু করে। রক্তনালী সংকুচিত হয়ে রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে ঝুঁকি বাড়ে হৃদরোগের। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়েটের উপরও নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। সঙ্গে রান্নার পদ্ধতির উপর নজর দেওয়াও জরুরি। 

ভারতে বহুল প্রচলিত হলুদ, রসুন, গোটা শস্য এবং মসুর ডালের মতো উপাদানগুলির স্বাস্থ্যগত উপকারিতা রয়েছে বিশেষ করে হৃদরোগের জন্য এগুলো বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত। তবুও এদেশের প্রতি পাঁচজনের মধ্যে এক জন কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন। এমনকী যাঁরা প্রক্রিয়াজাত খাবার খুব একটা খান না, তাঁরাও এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। চিকিৎসকদের মতে, খাবার নয়, রান্নার পদ্ধতি এবং ভুল খাদ্যাভাসের কারণে সমস্যা বাড়ছে। 

আসলে ভারতীয় রান্নাঘরে হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে পারে এমন উপাদান প্রচুর পরিমাণে থাকে ঠিকই, তবে অতিরিক্ত রান্না, অতিরিক্ত ঘি ওপরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট ব্যবহার, ডিপ ফ্রায়েড এবং পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ না করাই রোগের মূল কারণ। তাই স্বাস্থ্যকর খাবারও ভুল রান্নার পদ্ধতির কারণে পুষ্টিগুণ হারিয়ে ফেলে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে যে বিষয়গুলো এড়িয়ে চলবেন-

*একই তেল বার বার ব্যবহার করলে তা ট্রান্স ফ্যাট তৈরি হয়
*স্ন্যাকস এবং মাংস অতিরিক্ত ভাজা
*অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাটযুক্ত খাবার 
*চাটনি, সস এবং মিষ্টিতে লুকানো চিনি কম খাওয়া
*মালাই, ঘি এবং বনস্পতি থেকে অতিরিক্ত স্যাচুরেটেড ফ্যাট 

এইসব ভুল খাদ্যাভাসের সঙ্গে সারাদিন সক্রিয় না থাকা এবং বেশি রাতে খাওয়াদাওয়া কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে পারে।