আজকাল ওয়েবডেস্ক: ড্রাগন ফিস তো অনেকেই দেখে থাকেন। তবে এবার ধরা দিল নতুন প্রজাতির ড্রাগন ফিস। পশ্চিম আনটার্কটিকের পেনিনসুলা থেকে পাওয়া গেল এই ড্রাগন ফিস। গবেষকরা মনে করছেন এটি নিজেকে লুকিয়ে রেখেছিল প্রায় আট লক্ষ বছর ধরে। 


এই ধরণের মাছেদের জীবন জিনগত পরিবর্তন এর প্রধান কারণ। সেই কারণে এদের ডিএনএ-তে বিশেষ ধরণের পরিবর্তন ঘটেছে। ফলে এগুলি প্রবল শীতের মধ্যেও নিজেকে অতি সহজে বাঁচিয়ে রেখেছে। 


ড্রাগন ফিস বলতে বিভিন্ন ধরনের মাছকে বোঝানো যেতে পারে, তবে সাধারণভাবে এর দুটি প্রধান ভাগ রয়েছে: গভীর সমুদ্রের ড্রাগনফিশ এবং এশিয়ান অ্যারোওয়ানা বা ড্রাগন ফিশ, যা সাধারণত অ্যাকোয়ারিয়ামে রাখা হয়। গভীর সমুদ্রের ড্রাগনফিশ সাধারণত লম্বা, সরু এবং অন্ধকার পরিবেশে থাকে, যেখানে এশিয়ান অ্যারোওয়ানা দেখতে সুন্দর এবং সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে ধরা হয়।


এরা গভীর সমুদ্রে বাস করে এবং এদের শরীর সাধারণত লম্বা ও সরু হয়। এদের ত্বক কালো রঙের হয়ে থাকে যা শিকারের সময় ছদ্মবেশ ধারণে সাহায্য করে। কিছু প্রজাতির ড্রাগনফিশের চোয়ালের নিচে আলো বিকিরণকারী অঙ্গ থাকে, যা শিকারকে আকর্ষণ করতে কাজে লাগে।


এরা শিকারী মাছ এবং সুযোগের জন্য অপেক্ষা করে শিকার করে থাকে। এগুলি অ্যাকোয়ারিয়ামে রাখা জনপ্রিয় মাছ। এদের দেখতে সুন্দর এবং চিনা সংস্কৃতিতে এগুলিকে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। এগুলি বেশ দামি এবং কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষ করে চিনা সংস্কৃতিতে, স্ট্যাটাস সিম্বল হিসেবে বিবেচিত হয়। কিছু ক্ষেত্রে, এগুলি "ড্রাগন স্নেকহেড ফিশ" নামেও পরিচিত।