সংবাদ সংস্থা মুম্বই: হায়দরাবাদের রামোজি ফিল্ম সিটির সঙ্গে ‘ভূতের গুজব’ অনেকটা বহুদিনের পুরোনো সম্পর্কের মতো। শহরের অলিতে-গলিতে বড় হয়ে ওঠা প্রায় প্রত্যেকেই অন্তত একবার এই 'ভূতুড়ে' গল্প শুনেছেন। তবে এবার সেই গুজবের আগুনে ঘি ঢাললেন বলিউড অভিনেত্রী কাজল, আর তাতেই রীতিমতো ধুন্ধুমার পরিস্থিতি নেটপাড়ায়।

 

নিজের আসন্ন হরর ছবি ‘মা’–র প্রচারে গিয়ে কাজল সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি এমন অনেক জায়গায় শুট করেছি যেখানে প্রবল নেগেটিভ এনার্জি অনুভব করেছি। মনে হত, এখান থেকে পালিয়ে যেতে পারলে বাঁচি! ঘুম আসত না, অস্থির লাগত।” আর তার মধ্যেই তিনি তুলে আনেন রামোজি ফিল্ম সিটি-র প্রসঙ্গ— “ বিশ্বের অন্যতম ভূতুড়ে জায়গা হিসেবে ধরা হয় এই স্টুডিওটিকে।” যদিও তিনি স্বীকার করেন, কোনও ভূত নিজে চোখে দেখেননি।

 

কাজলের এই এই মন্তব্যেই আগুন জ্বলে ওঠে নেটপাড়ায়। নেটিজেনদের একাংশ অভিনেত্রীর কড়া সমালোচনায় মুখর। একজন লেখেন, “আজ ভূতের গল্প বলে ‘মা’ ছবির প্রচার, কাল বিজ্ঞানীর চরিত্রে অভিনয় করে বিজ্ঞানকেই শ্রেষ্ঠ বলবে। কোনও মানে হয়?”
আর এক টুইটার ব্যবহারকারী কটাক্ষ করে লেখেন, “ রামোজি ফিল্ম সিটি যদি সত্যিই ভুতুড়ে হতো, তবে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ ঘুরতে যেতেন না! রামোজি তো হায়দরাবাদের গর্ব।”

 

কেউ কেউ আবার রসিকতা করে লেখেন, “ভূতেরাও ২০২৫-এ লাফঝাঁপ থামায়নি? দারুণ!” তবে চোখ কেড়েছে এক নেট ব্যবহারকারীর মন্তব্য - “বাহুবলী, পুষ্পা, আরআরআর, পাঠান, কেজিএফ—এই সব জনপ্রিয় ছবির শুটিং হয়েছে ওই স্টুডিওতে। সেই বেলা?”

 

তবে কাজলের পাশে দাঁড়ানো লোকেরও অভাব নেই। এক টুইটার ব্যবহারকারী স্মরণ করান, “তাপসী পান্নু, রাশি খান্না, এমনকি পরিচালক সুন্দর সি-ও রামোজিতে অলৌকিক অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন। এমনকি পরিচালক রবি বাবু নিজে বলেছিলেন সিতারা হোটেল-এ তিনি এমন এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন, যে ঘটনা তাঁকে ‘অভিনু’ ছবি তৈরি করতে বাধ্য করেছিল।”

 


প্রসঙ্গত, রামোজি ফিল্ম সিটি বিশ্বের বৃহত্তম ফিল্ম স্টুডিও, যার আয়তন ১৬৬৬ একর এবং ৪৭টি সাউন্ডস্টেজ রয়েছে। গিনেস বুকে নাম আছে এর। এই বিশাল নির্মাণকে ঘিরে এমন নানা গল্প গড়ে ওঠাই কি স্বাভাবিক? নাকি এগুলো নিছক প্রচারের কৌশল?সবশেষে কাজলের বক্তব্যেই শোনা যাক -“গল্পগুলো যত ভাইরাল হোক না কেন, সত্যিটা আমি জানি। ভয় ছিল, ভৌতিক কিছু নয়।”