আজকাল ওয়েবডেস্ক: পুজোর শেষলগ্নে আনন্দ মাটি করবে বৃষ্টি। অষ্টমী পর্যন্ত ঝলমলে রোদ থাকলেও, নবমী থেকে একাদশী পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, সোমবার, নবমীর দিন বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে এটি গভীর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এরপর গতিপথ পরিবর্তন করবে। বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড় সুন্দরবন উপকূলে ধেয়ে আসবে। যদিও অতি গভীর নিম্নচাপ রূপে বাংলাদেশেই যাবে। বাংলাদেশের উপকূলের কাছাকাছি এসে শক্তি হারিয়ে অতি গভীর নিম্নচাপের রূপে স্থলভাগে প্রবেশ করবে। আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, এর প্রভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে বাংলার উপকূলের জেলাগুলিতে। সমুদ্র উত্তাল হবে। উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। নবমীর সন্ধের মধ্যে মৎস্যজীবীদের উপকূলে ফিরে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামিকাল মঙ্গলবার ও বুধবার সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের জন্য। নবমীতে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম মেদিনীপুরে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা। দশমীতে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে কয়েক পশলা মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের সব জেলাতে। বজ্রপাতের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। একাদশীর দিন পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া জেলাতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। বাকি জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। আবহাওয়ার উন্নতি হবে বেলার দিকে। ২৭ অক্টোবর শুক্রবার কার্নিভালের দিন কলকাতায় পরিষ্কার আকাশ ও মনোরম পরিবেশ থাকবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে না কার্নিভালের দিনে।
