সংবাদ সংস্থা মুম্বই: কখনও কত্থক নৃত্যের তালে তাল মেলানো, কখনও আবার ভরদুপুরে সমুদ্র সৈকতে ক্রিকেট—এই ভাবেই নিজের দ্বিতীয় ভারত সফরটা একেবারে মাটির কাছাকাছি থেকে উপভোগ করছেন কোরিয়ান পপ সেনসেশন জ্যাকসন ওয়াং। বললেন, “আমি এখানে এসেছি শুধু দেখতে, শিখতে, অনুভব করতে আর অনুপ্রাণিত হতে।”
মুম্বইয়ের রাস্তায় ঘোরা, স্ট্রিট ফুড খাওয়া থেকে শুরু করে সমুদ্রতটে স্থানীয়দের সঙ্গে ক্রিকেট—সবই এবার তাঁর ভারত সফর পরিকল্পনার অংশ। এক সপ্তাহের সফরে এসে তিনি শিখে ফেলেছেন ‘নমস্তে’, ‘শুকরিয়া’র মতো হিন্দি শব্দ। তবে গাইড নিয়ে নয়, ওয়াং চান নিজের মতো করে শহরটা আবিষ্কার করতে।
“স্থানীয়রা যা করছেন, আমিও তাই করতে চাই। নিজে নিজে শহরটা খুঁজেপেতে দেখতে চাই। কারও দেখানো পথে নয়, নিজের দেখায়।” – বললেন জ্যাকসন। ৩১ বছর বয়সি এই গায়ক জনপ্রিয় কেপপ ব্যান্ড জিওটি৭-এর সদস্য। তাঁর গাওয়া "ব্লো" আর "১০০ ওয়েজ " ইতিমধ্যেই ঝড় তুলেছে মিউজিক চার্টে। এখন তিনি এসেছেন তাঁর নতুন অ্যালবাম “ম্যাজিক ম্যান ২”-এর প্রচারে, যা ২০২২-এর সুপারহিট অ্যালবামের সিক্যুয়েল।
ভারত সফরে এসে খেয়েছেন দই সেভপুরি, পনির-মেয়োনিজ স্যান্ডউইচ, আর স্বাদে-ঝালে জমজমাট বড়াপাও। যদিও ঝাল একটু কম নিতে হয়, কারণ লঙ্কায় অ্যালার্জি আছে তাঁর।মুম্বইয়ে এসে হৃত্বিক রোশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই ফেলে দেন ওয়াং। গুঞ্জন ওঠে, তাঁকে নাকি দেখা যেতে পারে "কৃষ ৪"-এ! তবে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, “সে সব কিছুই গুজব। হৃত্বিকের সঙ্গে আমি স্রেফ বন্ধুত্ব উদযাপন করি, কাজ নিয়ে কোনও কথা হয় না।” পাঞ্জাবি তারকা দিলজিৎ দোসাঞ্জ-এর সঙ্গে ‘বাক’ গানে কাজ করেছেন আগেই। ওয়াং বললেন, “দিলজিৎ আমার খুব ভাল বন্ধু। আমরা একসঙ্গে সময় কাটাই। উনি আমার সিনিয়র। কিংবদন্তি বলেই মানি তাঁকে। ভবিষ্যতে আবার কাজ হবেই।”
তাই জ্যাকসনের ভারত সফর একটা অ্যালবামের প্রচার হলেও, তাঁর চোখে এটা যেন একটা আত্মিক যাত্রা। কোনও নির্দিষ্ট রোডম্যাপ ছাড়া হাঁটা, অপরিচিত শহরের ভেতর নিজেকে হারিয়ে খোঁজার অভিজ্ঞতা—ভারত ওয়াং-এর কাছে শুধুই দেশ নয়, এক অনুপ্রেরণা।
