আজকাল ওয়েবডেস্ক: হু হু করে ছড়াচ্ছে করোনা, হাজার হাজার আক্রান্ত কেরল-গুজরাটে, দেশের পরিসংখ্যান সামনে আসতেই প্রবল আতঙ্ক সাধারণের মনে। কেন্দ্রের পরিসংখ্যান, এই মুহূর্তে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮১৫। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২৪ জন। তার মাঝেই ভয় ধরানো তথ্য এল সামনে।
তথ্য, সন্ধান মিলেছে নয়া কোভিড ভ্যারিয়েন্টের। শনাক্ত করা গিয়েছে, নয়া কোভিড-১৯ ভ্যারিয়েন্ট এক্সএফজি(XFG)। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতে ইতিমধ্যে ১৬৩জনের শরীরে এই নয়া ভ্যারিয়েন্ট লক্ষ করা গিয়েছে। ভারতীয় SARS-CoV-2 জিনোমিক্স কনসোর্টিয়াম INSACOG এই তথ্য সামনে এনেছে।
তথ্য, XFG হল SARS-CoV-2 ভাইরাসের একটি রিকম্বিন্যান্ট সাবভ্যারিয়েন্ট। কানাডায় প্রথম শণাক্ত হওয়া দুটি পূর্ববর্তী রূপের মিশ্রণে তৈরি বলেই জানা গিয়েছে। তথ্য, কোনও এক ব্যক্তি যখন LF.7 এবং LP.8.1.2 দুটি ভিন্ন স্ট্রেনে সংক্রামিত হন, তখন রিকম্বিন্যান্ট রূপগুলি তৈরি হয়।
INSACOG-এর তথ্য, মহারাষ্ট্রে XFG-র উপস্থিতি লক্ষ করা গিয়েছে ৮৯ জন আক্রান্তের শরীরে, তামিলনাড়ুতে ১৬, কেরলে ১৫, গুজরাটে ১১জনের শরীরে এই সাবভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি লক্ষ করা গিয়েছে। এছাড়া অন্ধ্র প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গেও এই সাব ভ্যারিয়েন্ট লক্ষ করা গিয়েছে আক্রান্তের শরীরে। এই সাবভ্যারিয়েন্ট কীভাবে মানুষের শরীরে থাবা বসাচ্ছে, কত দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ছে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর কীভাবে প্রভাব ফেলছে, তার উপর নজর রয়েছে বিশেষজ্ঞদের। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, এই সাবভ্যারিয়েন্ট এড়িয়ে যেতে পারে স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা, এমনকি ভ্যাকসিনও। এখনও এই সাব ভ্যারিয়েন্ট কতটা চিন্তার তা নিয়ে কোনও সঠিক তথ্য আসেনি প্রকাশ্যে। তবে বিশেষজ্ঞদের মত, এটি ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়লে চ্যালেঞ্জের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
এক নজরে দেখা যাক, গত কয়েকদিনে কী হারে দেশে বাড়ছে সংক্রমণ-
২৬ মে যেখানে সংখ্যা ছিল ১০১০, সেখানে ৩০ মে সংখ্যা পৌঁছয় ২৭১০-এ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৩১ মে পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩,৩৯৫। একদিনেই নতুন করে সংক্রমিত হয়েছিলেন ৬৮৫জন। জুনের প্রথম দিনের আক্রান্ত ছিল প্রায় চার হাজার। ২ জুনের কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৯৬১। মাঝের কয়েকদিনেও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সংক্রমণ। ৯ জুন কেন্দ্রেরে পরিসংখ্যান, দেশে মোট আক্রান্ত ছিলেন ৬৪৯১ জন। ২৪ ঘণ্টায় হুড়মুড়িয়ে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। ১০ জুন, কেন্দ্রের পরিসংখ্যান, দেশে মোট করোনায় আক্রান্ত ৬৮১৫ জন।
নতুন ঢেউয়ের সংক্রমণের শীর্ষে সেই কেরল। কেন্দ্রের তথ্য, কেরলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০৫৩। দ্বিতীয় স্থানে গুজরাট, মোট আক্রান্ত সেখানে ১১০৯। দিল্লিতে মোট আক্রান্ত ৬৯১। মহারাষ্ট্রে সংক্রমিতের সংখ্যা ৬১৩। কর্ণাটকে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৫৯, তামিলনাডুতে ২০৭, উত্তরপ্রদেশে ২২৫। ২৪ ঘণ্টায় ঝাড়খণ্ড, কেরল এবং দিল্লিতে করোনায় মৃত্যু হয়েছে মোট তিনজনের।
