আজকাল ওয়েবডেস্ক: বর্তমানে তাঁর নাম বিশ্বজুড়ে পরিচিত। তিনি রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের প্রধান, ধীরুভাই অম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের চেয়ারপারসন, "Education and Sports for All" উদ্যোগের প্রধান এবং আইপিএলের সবচেয়ে সফল দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মালিক। তবে এই সব পরিচয়ের বাইরেও, নীতা অম্বানি একসময় ছিলেন একজন সাধারণ স্কুল শিক্ষিকা। সামনে এল অম্বানি পরিবারের এক বিরাট রহস্য। জানা গেল, বিয়ের আগে মুকেশ অম্বানির কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত রেখেছিলেন তিনি। বিয়ের আগে নীতা অম্বানি ছিলেন নীতা দালাল।

তিনি বড় হয়েছেন এক সাধারণ গুজরাতি পরিবারে। তাঁর বাবা, রবিশঙ্কর দালাল বিড়লা গ্রুপে উচ্চপদে কর্মরত ছিলেন। নীতা তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন সানফ্লাওয়ার নার্সারি স্কুলে শিক্ষকতা করে। সেখানে তাঁর মাসিক বেতন ছিল মাত্র ৮০০ টাকা। শৈশব থেকেই নৃত্যের প্রতি গভীর আগ্রহ ছিল তাঁর। নীতা অম্বানি একজন প্রশিক্ষিত ভারতনাট্যম নৃত্যশিল্পী। এক অনুষ্ঠানে তাঁর এই নৃত্য উপস্থাপন দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন ধীরুভাই অম্বানি। এরপরই তিনি নীতাকে নিজের পুত্রবধূ হিসেবে পেতে আগ্রহী হয়েছিলেন।

তারপরেই নীতার বাবার সঙ্গে বিবাহ প্রস্তাব নিয়ে যোগাযোগ করেন। তবে প্রথমে বিয়েতে সম্মত হননি নীতা। তাঁর একমাত্র দুশ্চিন্তা ছিল বিয়ের পরেও তিনি শিক্ষকতা চালিয়ে যেতে পারবেন কিনা। মুকেশ অম্বানি এক ধনকুবের পরিবারের ছেলে। নীতা সেই সময়ে নিজে ছিলেন একজন মধ্যবিত্ত, কর্মজীবী নারী। সেই সময় তিনি একটি স্পষ্ট শর্ত রাখেন মুকেশ অম্বানির সামনে, বিয়ের পরও তিনি শিক্ষকতার কাজ চালিয়ে যাবেন।

মুকেশ অম্বানি তাঁর এই শর্ত বিনা দ্বিধায় মেনে নিয়েছিলেন। সেই কথাই একবার পুরনো টিভি শোয়ে জানিয়েছিলেন দু’জনে। মুকেশ বলেন, ‘বিয়ের পরের বছরই ও স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করে’। নীতা যোগ করেন, ‘আমি সানফ্লাওয়ার নার্সারিতে কাজ করতাম, আর আমার মাসিক বেতন ছিল ৮০০ টাকা’। মুকেশ মজা করে বলেন, ‘আর সেই টাকাতেই আমাদের ডিনারের খরচ চলত’। নীতা জানান, অনেকে তখন তাঁর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ঠাট্টা করত। বলত ‘এত বড় পরিবারে বিয়ে করে স্কুলে পড়ানো কেন? তিনি বলেন, ‘এই শিক্ষকতা আমায় এক তৃপ্তি দিয়েছে। আজ আমি যে জায়গায় পৌঁছেছি সেটা সেই শিক্ষকতার জন্যই।