আজকাল ওয়েবডেস্ক: গ্রেটার নয়ডার একটি বেসরকারি হাসপাতালে সম্প্রতি ব্যাপক চাঞ্চল্য। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্তাদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন এক মহিলা। তাঁর অভিযোগ, ২০২৩ সালে সন্তান প্রসবের অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসকরা অসাবধানবশত তাঁর পেটের ভেতরে আধ মিটার লম্বা একটি ব্যান্ডেজ বা কাপড়ের টুকরো ফেলে রেখেছিলেন। এই মারাত্মক গাফিলতির জেরে গত দেড় বছর ধরে অসহ্য যন্ত্রণায় ভুগেছেন তিনি।
আদালতের নির্দেশে গত ২৪ ডিসেম্বর গ্রেটার নয়ডার নলেজ পার্ক থানায় চিকিৎসক অঞ্জনা আগরওয়াল, মণীশ গোয়েল এবং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমও) নরেন্দ্র কুমার-সহ মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বলে খবর৷
জানা গিয়েছে, মহিলা পেশায় পরিচারিকা এবং সেলাই শিল্পী। তিনি জানান, ২০২৩ সালের নভেম্বরে তুঘলকপুরের একটি হাসপাতালে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছিল। বাড়ি ফেরার পর থেকেই পেটে তীব্র ব্যথা শুরু হয়। মুজফফরনগর থেকে নয়ডা - একের পর এক হাসপাতাল ও নামী চিকিৎসকের দরজায় কড়া নাড়লেও কেউ ধরতে পারেননি সমস্যার আসল কারণ। এমনকী এমআরআই রিপোর্টেও সব স্বাভাবিক ছিল।
অবশেষে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে কৈলাস হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের সময় মহিলার পেট থেকে সেই কাপড়ের টুকরোটি বের করা হয়। অভিযোগকারিণীর দাবি, ওই কাপড়টি বের করার ছবি ও ভিডিও তাঁর কাছে প্রমাণ হিসেবে রয়েছে।
মহিলার অভিযোগ, এই ঘটনার বিচার চেয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরে আবেদন জানালেও তদন্তে টালবাহানা করা হয়েছে। উল্টে অভিযুক্তরা তাঁদের মুখ বন্ধ রাখতে ভয় দেখাচ্ছেন। এই গাফিলতির জেরে তাঁকে দু’বার বড় অস্ত্রোপচারের ধকল সইতে হয়েছে এবং প্রচুর রক্ত দিতে হয়েছে। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, এই শারীরিক ক্ষতির কারণে তিনি হয়তো আর কোনওদিন মা হতে পারবেন না।
পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ মেনেই যাবতীয় পদক্ষেপ করা হবে।
