বুধবার ০৪ জুন ২০২৫

সম্পূর্ণ খবর

কলকাতা | ২ টাকার বিনিময়ে বাঁচল ৪০ লক্ষ খরচ, বাঁচল প্রাণ, বোন ম্যারো ট্র্যান্সপ্ল্যান্টে নজিরবিহীন সাফল্য এনআরএস হাসপাতালের

Riya Patra | ০২ জুন ২০২৫ ১৯ : ১২Riya Patra


বিভাস ভট্টাচার্য: বোন ম্যারো ট্র্যান্সপ্ল্যান্টে দেশে নজিরবিহীন সাফল্য পেল রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজ এনআরএস হাসপাতাল। বাবার বোন ম্যারোতে বাঁচল মেয়ের প্রাণ। সম্পূর্ণ ক্যান্সারমুক্ত বছর ২৬-এর ওই রোগীকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। 

এবিষয়ে এনআরএসের হেমাটোলজি বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ সন্দীপ সাহা বলেন, 'রোগী হজকিন্স লিম্ফোমা বা গ্ল্যান্ডের ক্যান্সারে ভুগছিলেন। যেটা থেকে তাঁর জীবন সংশয় হতে পারত। আমরা তাঁর বাবার বোন ম্যারো ব্যবহার করেছিলাম তাঁকে সুস্থ করে তুলতে। বোন ম্যারোর ক্ষেত্রে সাধারণত জেনেটিক সম্পুর্ন ম্যাচিং না হলে ট্র্যান্সপ্ল্যান্ট করা কঠিন। এক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ মিল পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত সফলভাবেই সেই বোনম্যারো ট্র্যান্সপ্ল্যান্ট করা গিয়েছে এবং রোগী এখন সম্পূর্ণ সুস্থ।' এই ধরনের ট্র্যান্সপ্ল্যান্ট দেশে এর আগে সরকারি ক্ষেত্রে কোথাও হয়নি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বলা যায় এটা একটা নজির হিসেবে উঠে এল।

জানা গিয়েছে, এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর রোগী অন্য রাজ্যের বিভিন্ন নামী বেসরকারি ক্যান্সার চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন। সেখানে চিকিৎসা করলেও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি। এরপর এনআরএস হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসা করাতে আসেন। ডাঃ সন্দীপ সাহা জানান, 'রোগী আমাদের কাছে আসার পর তাঁকে পরীক্ষা করে দেখা যায় সে স্টেজ ফোর হজকিন্স লিম্ফোমাতে আক্রান্ত এবং যা বারংবার ফিরে আসছে (relapsed & refractory)। এক্ষেত্রে রোগীর শরীরে বিভিন্ন স্থানে যেমন ঘাড়ে গ্ল্যান্ড দেখা যায়। আমরা নতুন কেমোইমিউনো থেরাপি শুরু করি। এরপর ট্র্যান্সপ্ল্যান্টের সময় রোগীর শরীরে যা ক্যান্সার সেল রয়েছে, 'হার্ড কেমো' দিয়ে সেই সেলকে 'ক্লিয়ার' করা হয়।' 

তাঁর কথায়, 'এরপর অন্যের শরীরের বোনম্যারো রোগীকে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হল জেনেটিক ম্যাচিং। আমরা এই রোগীর শরীরে তাঁর বাবার বোনম্যারো ট্র্যান্সপ্ল্যান্ট বা প্রতিস্থাপন করি। এক্ষেত্রে জেনেটিক ম্যাচিং ছিল অর্ধেক।' ট্র্যান্সপ্ল্যান্টের চার সপ্তাহ পর তাঁকে  হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর গত সপ্তাহে যখন তাঁকে ফের পরীক্ষা করা হয় দেখা যায় তিনি সম্পূর্ণ ক্যান্সার মুক্ত হয়েছেন। কাইমেরিসম ১০০ শতাংশ। 

ডাঃ সন্দীপ সাহা বলেন, 'অত্যন্ত ব্যয়বহুল এই চিকিৎসার ব্যবস্থা খুব কম প্রতিষ্ঠানেই আছে। বেসরকারি ক্ষেত্রে এই চিকিৎসার খরচ প্রায় 8০ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। যেটা সরকারি হাসপাতালে যৎসামান্য খরচে হল।'  চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে রোগীর পরিবার। 


NRS HospitalBone marrow transplantation Critical cancer patientCancer Patient

নানান খবর

নানান খবর

প্রতিবাদ মাথায়, নিজের দলের সমর্থকদের মেরেই হাতে সুখ বিজেপির! করুণাময়ীতে হাস্যকর কাণ্ড

শহরে গাড়ির বেপরোয়া গতি, মর্মান্তিক পরিণতি পড়ুয়ার, বাসের চাকা পিষে দিল মহিলাকে

শাহি সফর না শ্বশুরবাড়ি? প্রথম জামাইষষ্ঠীতে দিলীপ গেলেন কোথায়!

ক্যাম্প হুঁশিয়ার ২৫: ভারতীয় উপকূল রক্ষাবাহিনীর পশ্চিমবঙ্গ শাখার বিশেষ অস্ত্র প্রশিক্ষণ শিবির

বিশ্ব তামাক দিবস উপলক্ষে অ্যাপোলো হাসপাতালের ক্যানসার মুক্ত সমাজ গঠনে অভিনব উদ্যোগ: স্ক্রিনিং টেস্ট

হঠাৎই দাউদাউ করে জ্বলে উঠল বিমানবন্দরের রানওয়ে, ছুটে দমকল, সিআইএসএফ, তারপর?

ধানবাদের বেআইনি অস্ত্র কারখানার যৌথবাহিনীর হানা, কারখানা মালিক সহ গ্রেপ্তার পাঁচ

সোশ্যাল মিডিয়া