আজকাল ওয়েবডেস্ক: শনিবার পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলজুড়ে দ্বিতীয় দফার সিভিল ডিফেন্সের মহড়া ‘অপারেশন শিল্ড’ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। মূলত পশ্চিম সীমান্ত সংলগ্ন সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে জরুরি পরিস্থিতিতে কী করা উচিত তারই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এই বিশেষ মক ড্রিলে। এতে অংশ নিচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীর, গুজরাট, পাঞ্জাব এবং রাজস্থান। সফলভাবে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আগে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে প্রথমবার নিরাপত্তার মক ড্রিলের সাক্ষী থেকেছিল দেশ।
তার কয়েক ঘণ্টা পরেই পহেলগাঁওয়ের ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান এবং পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারত। উড়িয়ে দেওয়া হয় একাধিক সন্ত্রাসঘাঁটি। এই মক ড্রিলের নেতৃত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এর মধ্যে রয়েছে ব্ল্যাকআউট, সাধারণ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া, ও জরুরি পরিষেবায় সাড়া দেওয়া। সরকারি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, শনিবারের মহড়া শুরু হবে বিকেল ৫টা থেকে এবং একাধিক এলাকায় চালানো হবে।
জম্মুতে রাত ৮টা থেকে ৮টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত ব্ল্যাকআউট অনুশীলন করা হবে। নাগরিকদের অনুরোধ করা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ে সব আলো নিভিয়ে জানালা ঢেকে রাখতে। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে আশ্বস্ত করা হয়েছে, এটা শুধুই মক ড্রিল। চিন্তার কোনও কারণ নেই। চণ্ডীগড়ে রাত ৮টা থেকে ৮টা ১০ মিনিট পর্যন্ত কিশনগড় ও আইটি পার্ক এলাকায় ব্ল্যাকআউট থাকবে। সেক্টর ৪৭-এ পূর্ণাঙ্গ মহড়ায় সেনাঘাঁটিতে ড্রোন হামলার দৃশ্য ও ২০ জনকে সরানোর অনুশীলন করা হবে।
আহমেদাবাদের শাহিবাগ ক্যান্টনমেন্ট ও বিরমগাম পুলিশ লাইনে বিকেল ৫টা থেকে মহড়া শুরু হবে। রাত ৭টা ৪৫ মিনিটে ব্ল্যাকআউট দিয়ে সমাপ্ত হবে মহড়া। অমৃতসরে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত মহড়া চলবে এবং রাত ৮টা থেকে ৮টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ব্ল্যাকআউট থাকবে। দ্বিতীয় ধাপে অপারেশন শিল্ডের মূল লক্ষ্য হল জরুরি পরিস্থিতিতে জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া এবং জরুরি পরিষেবাগুলির প্রস্তুতি পরীক্ষা, বিশেষ করে এয়ার অ্যাটাক, ড্রোন হামলা এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে প্রস্তুত রাখা।
