আজকাল ওয়েবডেস্ক: আধুনিক জীবনযাত্রায় প্রক্রিয়াজাত খাবারের প্রতি ঝোঁক বাড়লেও, স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ কিন্তু ঝুঁকছেন প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে। যাঁরা এই ধরনের খাবার খেতে পছন্দ করেন তাঁদের জন্য একটি ভাল বিকল্প হতে পারে ফারমেন্টেড বা গাঁজন প্রক্রিয়ায় তৈরি করা খাবার। ঘরে বসেই দই, ইডলি, দোসা, কম্বুচা বা আচার তৈরি করে দৈনন্দিন পুষ্টির চাহিদা মেটানো সম্ভব। আবার এই ধরনের খাবার হজমশক্তি বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিরোধেও সহায়ক। ফারমেন্টেশন হল একটি প্রাচীন খাদ্য সংরক্ষণ পদ্ধতি, যেখানে উপকারী ব্যাকটেরিয়া বা ইস্ট খাদ্য উপাদানকে ভেঙে নতুন যৌগ তৈরি করে। এই প্রক্রিয়ায় খাবারে প্রোবায়োটিকের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। প্রোবায়োটিক হল এক ধরনের জীবন্ত অণুজীব, যা আমাদের অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখে।

 * উন্নত হজমশক্তি: প্রোবায়োটিক খাবার হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাসট্রিকের সমস্যা কমায়।
 * রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে এটি শরীরের সামগ্রিক রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে।
 * পুষ্টি উপাদানের শোষণ: ফারমেন্টেশনের ফলে খাবারের পুষ্টি উপাদানগুলি সহজে শরীরে শোষিত হয়। ভিটামিন বি, ভিটামিন কে এবং কিছু খনিজ লবণের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়।
 * খরচ সাশ্রয়: বাজারে উপলব্ধ প্রক্রিয়াজাত প্রোবায়োটিক খাবারের তুলনায় ঘরে তৈরি ফারমেন্টেড খাবার অনেক সাশ্রয়ী।
 * কৃত্রিম উপাদানমুক্ত: ঘরে তৈরি খাবারে কোনও অপ্রয়োজনীয় প্রিজারভেটিভ বা কৃত্রিম রং ও গন্ধ ব্যবহার করা হয় না।

কাজেই দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় ঘরে তৈরি ফারমেন্টেড খাবার যোগ করলে তা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে। সামান্য উদ্যোগ এবং সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে যে কেউ সহজেই এই পুষ্টিকর খাবারগুলি তৈরি করতে পারেন।