আজকাল ওয়েবডেস্ক: যোগাভ্যাস বর্তমানে বিশ্বজুড়ে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখার এক নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হিসেবে সমাদৃত। যাঁরা প্রথম প্রথম যোগাসন অভ্যাস করছেন তাঁদের কয়েকটি সহজ আসন দিয়ে শুরু করা ভাল। বিভিন্ন যোগাসনের মধ্যে বিতিলাসন বা ‘কাউ পোজ’ অন্যতম সহজ অথচ কার্যকরী একটি আসন। মেরুদণ্ড ও পেটের পেশির নমনীয়তা বৃদ্ধিতে এই আসন বিশেষভাবে সহায়ক।
বিতিলাসন করার পদ্ধতি
প্রথমে মার্জারাসন বা টেবিল টপ পোজিশনে আসুন। অর্থাৎ, হাঁটু গেড়ে বসুন এবং হাত দু’টি কাঁধ বরাবর মেঝেতে রাখুন। হাতের পাতা এবং হাঁটুর উপর শরীরের ভর থাকবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন ঊরু মাটির সঙ্গে লম্বভাবে থাকে এবং কব্জি ও কাঁধ এক সরলরেখায় থাকে।
এরপর শ্বাস নিতে নিতে পেট ধীরে ধীরে মেঝের দিকে নামান এবং একইসঙ্গে কোমর ও নিতম্ব উপরের দিকে তুলুন। বুক সামনের দিকে প্রসারিত করুন এবং দৃষ্টি উপরের দিকে বা সামনের দিকে রাখুন। এই অবস্থানে কয়েক সেকেন্ড স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস বজায় রাখুন। শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে ধীরে ধীরে আগের অবস্থানে (মার্জারাসন) ফিরে আসুন।
বিতিলাসনের উপকারিতা
১. মেরুদণ্ডের নমনীয়তা বৃদ্ধি: এই আসন মেরুদণ্ডের প্রতিটি কশেরুকার নড়াচড়া সহজ করে, যার ফলে মেরুদণ্ড আরও নমনীয় ও সচল হয়। এটি পিঠের আড়ষ্টতা কাটাতে সাহায্য করে।
২. হজম ক্ষমতার উন্নতি: বিতিলাসন করার সময় পেটে মৃদু চাপ পড়ে, যা পেটের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলিকে উদ্দীপ্ত করে। এর ফলে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
৩. মানসিক চাপ হ্রাস ও প্রশান্তি: এই আসন শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে সমন্বয় করে করা হয়, যা স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করে। নিয়মিত অভ্যাসে মানসিক চাপ কমে, উদ্বেগ দূর হয় এবং মন প্রশান্ত থাকে।
