সংবাদসংস্থা মুম্বই: 

আমিরি ব্যাপার-স্যাপার!

‘লগান’, ‘গঙ্গাজল’, ‘স্বদেশ’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করে নজর কেড়েছিলেন অভিনেতা দয়া শঙ্কর পাণ্ডে। সম্প্রতি এক খোলা কথোপকথনে ভাগ করে নিলেন বলিউডে তাঁর শুরুর দিনগুলির এক তেতো-মিষ্টি স্মৃতি। বললেন, আমির খানের প্রশংসাতেই নাকি চাকরি খুইয়েছিলেন তিনি!
সেই সময় চূড়ান্ত আর্থিক সঙ্কটে ছিলেন দয়া। দিনপ্রতি মাত্র ২০০০ টাকা রোজে ‘আকেলে হম আকেলে তুম’ ছবিতে জুনিয়র আর্টিস্ট হিসেবে ১২ দিনের কাজ নিয়েছিলেন। হঠাৎই শ্যুটিংয়ে এসে দয়া-কে দেখে আমির খান পরিচালককে বলেন— "ও খুব ভাল অভিনেতা। ওকে এই রোলে নষ্ট কোরো না।"

প্রথমে সেটা মনে হয়েছিল স্রেফ প্রশংসা। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই দয়া-কে 'প্যাক আপ' বলে ছেড়ে দেওয়া হয়। চমকে গিয়েছিলেন তিনি। বলেন, “ওই মুহূর্তে আমি প্রশংসা চাইনি, কাজটাই দরকার ছিল।” এমনকী, একসময় যাঁকে শ্রদ্ধা করতেন, সেই আমিরকেও ওই ঘটনার পর ‘ভিলেন’ মনে হয়েছিল দয়ার।

 


‘মধ্যবিত্ত’ শাহরুখ 

‘রা.ওয়ান’-এর পরিচালক অনভব সিনহার চোখে, শাহরুখ খান আজও মনেপ্রাণে সেই ‘মিডল ক্লাস’ ছেলেটাই! কোটি টাকার ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স থাকলেও, হৃদয়ের গভীরে এখনও মাটির টান বয়ে বেড়ান কিং খান—এমনই জানালেন অনভব এক খোলামেলা কথোপকথনে।

এক সাক্ষাৎকারে অনভব বলেন, “ওর কাছে সব আছে—দুনিয়ার টাকা, গুচ্চির জামা, সব! কিন্তু ওকে খুশি রাখে ওর বোনের হাসি। ওর এই গুণটাই সবচেয়ে মধুর। ওকে বলেছিলাম, ‘তুই একেবারে মিডল ক্লাস রয়ে গেছিস’। ও হাসতে হাসতে মেনে নিয়েছিল!” শাহরুখের এই হৃদয়ের মধ্যবিত্তত্ব কোনও দারিদ্র্যের চিহ্ন নয়, বরং একটা বড় হৃদয়ের প্রতিফলন—বলেই মনে করেন অনভব।

 


অক্ষয়-ঘোষণা 

বলিউডের ‘খিলাড়ি’ অক্ষয় কুমার সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করলেন তাঁর আসন্ন ছবি ‘ভূত বাংলো’-র শ্যুটিং শেষের কথা। আর এটাই নাকি প্রিয়দর্শন পরিচালিত সপ্তম "পাগলাটে অভিযান" অক্ষয়ের জীবনে! উচ্ছ্বসিত হয়ে তিনি লেখেন, “প্রিয়ন স্যার”-এর সঙ্গে আবার একটা দুর্দান্ত সফর শেষ হল! এই ছবিতে তাঁরা একসঙ্গে পা রাখছেন হরর-কমেডি দুনিয়ায়—যেখানে ভয় আর হাসির যুগলবন্দিতে তৈরি হবে এক দারুণ ‘হাসি-ভয়ের ককটেল’।

অক্ষয়-প্রিয়দর্শনের হাসির ম্যাজিক, সঙ্গে একতার প্রযোজনা—‘ভূত বাংলো’ নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে জমজমাট আলোচনা!