আজকাল ওয়েবডেস্কঃ যে কোনও অসুখই প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যার জন্য রোগের নির্দিষ্ট লক্ষণ বোঝা জরুরি। শরীরে রোগ বাসা বাঁধলে তার লক্ষণ বিভিন্ন অঙ্গে ফুটে ওঠে। যেমন মুখেও একাধিক শারীরিক সমস্যার উপসর্গ দেখা যায়। তাই মুখের অতিরিক্ত রোম কিংবা ঠোঁটের কোণে ঘা কমানোর জন্য শুধু রূপচর্চা নয়, নেপথ্যে লুকিয়ে থাকা রোগও চিহ্নিত করা প্রয়োজন।
১. যৌনরোগঃ একাধিক যৌনরোগের কিছু প্রাথমিক লক্ষণ মুখে দেখা যায়। যেমন হারপিসের কারণে মুখে ঘা, এইচআইভি থেকে ওরাল থ্রাশ বা মুখে সাদা দাগ, মুখের আলসারের মতো কয়েকটি উপসর্গ মুখে ফুটে ওঠে। এই ধরনের লক্ষণ অনেকেই খুব একটা নজর দেন না। যা পরবর্তীকালে চিন্তার কারণ হয়ে ওঠে। তাই সামান্য হলেও মুখের এই সব লক্ষণ দেখলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
২. মুখের ঘাঃ মুখের ক্যানসারে প্রাথমিকভাবে খুব একটা ব্যথা অনুভূত হয় না। নিঃশব্দে বাড়তে থাকে এই রোগ। ভারতের মতো দেশে তামাক, সুপারি এবং অ্যালকোহলের ব্যবহার ব্যাপক হওয়ার কারণে দিনকেদিন মুখের ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। অনেক সময় দাঁতের চিকিৎসক মুখের ভিতরে পরীক্ষা করার সময়ে এই লক্ষণ শনাক্ত করতে পারেন।
৩. পেটের সমস্যাঃ গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স (জিইআরডি) কিংবা শরীরে পুষ্টির ঘাটতিও মুখে ফুটে ওঠে। ঠোঁটের কোণে ফেটে যাওয়া, বারবার মুখের আলসার এবং অ্যাসিডের কারণে এনামেলের ক্ষয়ের মতো গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল লক্ষণগুলি অন্ত্রের আগে মুখেই দেখা দিতে পারে। তাই এমন উপসর্গ দেখলে অবহেলা না করাই উচিত।
৪. অটোইমিউনিটিঃ অটোইমিউন রোগগুলি শরীরে নিঃশব্দে বাড়তে থাকে। লুপাস, পেমফিগাস ভালগারিস এবং লাইকেন প্ল্যানাসের মতো অটোইমিউন শারীরিক সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণ মুখ, বিশেষ করে মাড়ি এবং গালের ভেতরের অংশে দেখা যায়। এগুলি মূলত শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার লক্ষণ।
৫. মহিলাদের মুখের রোম বেড়ে যাওয়াঃ ঠোঁটের উপর, দু’গালে রোমের ঘন রেখা নিয়ে বাইরে বেরতে অস্বস্তিবোধ করেন অনেকেই। তাই মাসে অন্তত দু’বার স্যালোঁয় গিয়ে মুখে ওয়াক্স করাতে হয়, কেউ আবার থ্রেডিং করেন। আর মুখের এই অবাঞ্ছিত রোমের কারণ হতে পারে পিসিওএস বা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম। এছাড়াও অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি এবং থাইরয়েড রোগের কারণে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলেও এই লক্ষণ দেখা যায়।
