আজকাল ওয়েবডেস্ক: ডায়াবেটিস রোগীদের খাবার খাওয়ার বিষয়ে অনেক ধরনের বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয়। কিন্তু কিছু কিছু খাবার রয়েছে যেগুলি সাধারণত নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই খাবারগুলি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং সামগ্রিক ভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। তবে মাথায় রাখতে হবে, প্রত্যেকের শারীরিক অবস্থা এবং খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন হতে পারে। তাই, কোনও নতুন খাদ্য পরিকল্পনা শুরু করার আগে একজন চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া জরুরি।

১. সবুজ শাকসবজি: পালং শাক, লাউ, করলা, ঢেঁড়স, ব্রোকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শসা এবং অন্যান্য আঁশযুক্ত সবুজ সবজি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এই সবজিগুলি ফাইবার, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থে ভরপুর থাকায় রক্তে শর্করার পরিমাণ হঠাৎ করে বেড়ে যায় না। বিশেষ করে করলা এবং ঢেঁড়স রক্তে শর্করা কমাতে সাহায্য করে।

২. ডাল (যেমন মুগ, মসুর): বিভিন্ন ধরনের ডাল, বিশেষ করে মুগ ও মসুর ডাল প্রোটিন এবং ফাইবারের চমৎকার উৎস। এগুলি ধীরে ধীরে হজম হয়, ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল থাকে।

৩. মাছ: তৈলাক্ত মাছ যেমন রুই, কাতলা, ইলিশে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। মাছ প্রোটিনেরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। কম তেলে রান্না করা বা সেদ্ধ মাছ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর খাবার।

৪. বাদামী চাল বা লাল আটার রুটি: সাদা চাল বা ময়দার পরিবর্তে বাদামী চাল (ব্রাউন রাইস) বা লাল আটার রুটি খাওয়া উচিত। এতে ফাইবার বেশি থাকে, যা রক্তে গ্লুকোজের শোষণকে ধীর করে দেয় এবং শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

৫. ফল (নির্দিষ্ট পরিমাণে ও নির্দিষ্ট ধরনের): সব ফল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য না হলেও, কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত ফল যেমন – আপেল, নাশপাতি, পেয়ারা, জাম, এবং বেরি জাতীয় ফল (স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি) পরিমিত পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে। ফলের মধ্যে থাকা ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে ফলের রস এড়িয়ে যাওয়া ভাল, কারণ রস করে ফেললে ফাইবার নষ্ট হয়ে যায়। তাতে আকস্মিক ভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।