আজকাল ওয়েবডেস্কঃ আমন্ড খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভাল, একথা মোটামুটি সকলেরই জানা। সকালে খালি পেটে আমন্ড খাওয়ার নিয়ম মানেন স্বাস্থ্যসচেতনরা। শুকনো আমন্ডের পরিবর্তে অনেকে জলে ভিজিয়ে রাখা আমন্ড খোসা ছাড়িয়েও খান। কিন্তু খোসা সহ নাকি খোসা ছাড়িয়ে, আসলে আমন্ড কীভাবে খাওয়া উচিত জেনে নিন।
পুষ্টিবিদদের মতে, আমন্ডের খোসায় ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে। এই উপাদানটি রক্তে বাড়তি শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়া এতে পলিফেনল নামক প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও রয়েছে। যা শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, খোসা ছাড়ানো আমন্ড হজম করা সহজ। তাই যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তাঁদের খোসা ছাড়িয়ে কাঠবাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। পেটের সমস্যা থাকলে খোসা ফেলে দিয়ে আমন্ড খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল।
আমন্ডের খোসার মধ্যেও অনেক গুণ রয়েছে। তাই ফেলে না দিয়ে এই বাদামের খোসাও খেতে পারেন। যেদিন সকালে খাবেন তার আগের দিন রাতে আমন্ড জলে ভিজিয়ে দিন। পরের দিন সকালে খাওয়ার সময় আমন্ডের খোসা ছাড়িয়ে নিন। কিন্তু ফেলবেন না। বরং ওই খোসা শুকিয়ে ভালভাবে গুঁড়ো করে খেতে পারেন। কুকিজ, কেক, মাফিন বাড়িতে বানালে সেখানেও বেশ অন্য রকম স্বাদ আনতে আমন্ডের খোসার গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন।
