আজকাল ওয়েবডেস্কঃ কাঠফাটা গরমে ফ্যনের তলায় থেকেও স্বস্তি নেই। এসি কিংবা কুলারের হাওয়া সাময়িক আরাম দিলেও কতক্ষণই বা থাকতে পারবেন! কাজের প্রয়োজনে বাইরে তো বেরতেই হবে। আবার গলদঘর্ম হয়ে বাড়ি ফিরেই ঢক ঢক করে ফ্রিজের ঠান্ডা জল খেলে কিংবা সঙ্গে সঙ্গে স্নান করলেও শরীরের বারোটা বাজতে সময় লাগে না। বরং শরীরকে ভিতর থেকে ঠান্ডা রাখুন। গরমকালে বেশ কিছু বিষয় মেনে চললেই সুস্থ থাকবেন।  

  • হালকা খাবার- গরমের সময়ে ঝাল, তেল, মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। খাদ্যতালিকায় এমন ফল বা সবজি রাখুন যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। তরমুজ, শসা, জামরুল, পটল, ঝিঙের মতো যে সব ফল অথবা সবজিতে জলের পরিমাণ বেশি থাকে সেগুলো বেশি করে খাওয়ার চেষ্টা করুন।
  • টক দই মাস্ট- ঘরে পাতা হলে তো কথাই নেই, নয়তো দোকান থেকে কিনে এই সময়ে রোজ পাতে রাখুন টক দই। দারুণ স্বাস্থ্যকর এই দই শরীরও ঠান্ডা রাখে। দইয়ের শরবত থেকে শুরু করে দই ভাত, দইয়ের রায়তা যে ভাবে হোক দই খাওয়া চাই-ই চাই। নির্বিদ্ধায় খেতে পারেন দই চিড়ে, খই দইয়ের মতো খাবার। 
    জল ছাড়া উপায় নেই- গরম পড়তে শুরু করলেই শরীরে জলশূন্যতার সমস্যা দেখা যায়। তাই দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস জল পান করা উচিত। শরীর হাইড্রেটেড থাকলে ক্লান্তি কম অনুভূত হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাল থাকে।
  • সঠিক পোশাক- গরমের সময় হালকা, সুতির আর আরামদায়ক পোশাক পরুন। এই সময়ে খুব আঁটোসাঁটো পোশাক না পরাই ভাল। গাঢ় রঙের বদলে হালকা রঙের পোশাক শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
  • রোদ থেকে সুরক্ষা- সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে সূর্যের তাপ সবচেয়ে বেশি থাকে। এই সময় বাইরে গেলে ছাতা, সানগ্লাস, টুপি ব্যবহার করুন। বাড়িতে থাকলেও সকাল ১০ টা থেকে ৫টা পর্যন্ত দরজা-জানলা বন্ধ রাখুন।
  • ত্বক বাঁচান- রোদে বেরোনোর কমপক্ষে ২০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করাও জরুরি। ত্বক স্বাভাবিক হলে যে কোনও ধরনের সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন। তৈলাক্ত ও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য জেল, স্প্রে, স্টিক সানস্ক্রিন ভাল। গরমে ত্বক ঠান্ডা রাখার জন্য বরফের টুকরো ঘষতে পারেন। শশার স্লাইস চোখের পাতায় লাগিয়ে বিশ্রাম করতে পারেন।
  • পর্যাপ্ত ঘুমোন- শরীর সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই। দিনে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। গরমের কারণে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে, তাই ঘরকে যতটা সম্ভব ঠান্ডা ও আরামদায়ক রাখার চেষ্টা করুন।
  • শরীরচর্চায় ফাঁকি নয়- গরমের কারণে অনেকেই নিয়মিত ব্যায়াম করেন না যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। সকালে বা সন্ধ্যায় হালকা ব্যায়াম, হাঁটা বা যোগব্যায়াম করুন। এতে শরীর চাঙ্গা থাকবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
  • সংক্রমণ থেকে সাবধান- গরমে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বাড়তে পারে। বাইরে থেকে এসে হাত ধোয়া, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার অভ্যাস বজায় রাখুন। রাস্তার খাবার এড়িয়ে চলুন।
  • ঠান্ডা-গরম এড়িয়ে চলুন- খুব গরম থেকে এসে এসিতে ঢুকলে কিংবা বরফ ঠান্ডা জল খেলে সর্দি-কাশির সমস্যা হতে পারে। তাই এই অভ্যাস না করাই উচিত। গরমে ঘন ঘন স্নান করলে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কাও থাকে। বদলে কখনও কখনও কোল্ড ফুট বাথ নিন। যার জন্য একটি বড় গামলায় ঠান্ডা জল নিয়ে তার মধ্যে বরফের টুকরো দিন। এবার খানিকশ্রণ পা ডুবিয়ে বসে থাকুন। চাইলে এই জলের মধ্যে কয়েক ফোঁটা পিপারমিন্ট এসেন্সিয়াল অয়েল যোগ করতে পারেন।