আজকাল ওয়েবডেস্ক: ধুমধাম করে বিয়ের আসর বসেছিল। হুল্লোড়ে মেতেছিলেন আত্মীয় থেকে আমন্ত্রিতরা। বিয়ের অর্ধেক আচার-অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ হয়েও গিয়েছিল। ছ'পাক ঘোরার পর হঠাৎ একটি ফোন আসে পাত্রের ফোনে। এরপরই গাঁটছড়া খুলে ফেলেন তিনি। সাতপাক ঘোরার ঠিক আগের মুহূর্তে জানিয়ে দেন, এই বিয়ে তিনি করবেন না। যা ঘিরে তুমুল শোরগোল গোটা বিয়েবাড়িতে। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের করৌলী জেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার নাদোতি তালুকে বিয়ের আসরটি বসেছিল। চোখধাঁধানো আয়োজন ছিল সেখানে। ছ'পাক ঘোরার পর পাত্র কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এরপরই জানিয়ে দেন, তিনি বিয়ে করবেন না। পাত্রের এহেন আচরণে প্রথমে হকচকিয়ে যান সকলে। পাত্রীও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। 

দু'পক্ষের মধ্যে অশান্তি এমন পর্যায়ে পৌঁছয়, পাত্র, তাঁর বাবা ও কয়েকজন আত্মীয়কে আটকে রাখে পাত্রীর পরিবার। বিয়েতে ৫৬ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন তাঁরা। পাত্রের শেষমুহূর্তের সিদ্ধান্তে আর্থিক ক্ষতি থেকে মানহানিও হয়েছে তাঁদের। সেই ক্ষতিপূরণের দাবি করেন সকলে। 

শেষমেশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পঞ্চায়েত সদস্য, পুলিশ মধ্যস্থতার চেষ্টা করে। কিন্তু তারপরেও অশান্তি থামেনি। পাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, সম্ভবত ছ'পাক ঘোরার পর পাত্রকে তাঁর প্রেমিকা ফোন করেছিলেন। সেই ফোন পেয়েই বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন। তারপর আর সাতপাক ঘোরেননি।