বিভাস ভট্টাচার্য: স্বল্প পরিসরের মধ্যে কোনো ঘটনা ঘটলে যাতে দ্রুত পুলিশকর্মীরা পৌঁছে যেতে পারেন সেবিষয়ে উদ্যোগী হল রাজ্য। কেনা হল 'সেল্ফ ব্যালান্সিং ইলেকট্রিক স্কুটার'। আপাতত চারটি এই স্কুটার পরীক্ষামূলকভাবে কিনেছে রাজ্য পুলিশ। যা ব্যবহার করা হচ্ছে দিঘায় জগন্নাথ মন্দির চত্বরে। এগুলির কার্যকারিতা পরীক্ষার পর ভবিষ্যতে এই ধরনের স্কুটার আরও বেশি সংখ্যায় কেনা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
রাজ্যের বিভিন্ন ধর্মীয় স্থান এবং হাওড়া, শিয়ালদহ-সহ গণ পরিবহনের জায়গায় নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয় পুলিশকর্মী। গোটা চত্বর তাঁরা পায়ে হেঁটে নজরদারি চালান। জায়গা যদি বড় হয় তবে স্বাভাবিকভাবেই ওই পুলিশকর্মীদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছতে সময় লেগে যায়। অনেকসময় ঘটনা ঘটে গেলেও দূরত্ব যদি বেশি হয় তবে পায়ে হেঁটে পৌঁছতে স্বাভাবিকভাবেই সময় লাগে পুলিশের।
এই পরিস্থিতিতে একদিকে নজরদারি এবং অন্যদিকে অকুস্থলে দ্রুত পৌঁছতে এই ধরনের বিশেষ স্কুটার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য পুলিশ। এবিষয়ে পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, 'ঘেরা অথচ ভেতরে রাস্তা আছে সেই সমস্ত জায়গায় নজরদারি চালাতে পরীক্ষামূলকভাবে এই স্কুটার কেনা হয়েছে। আপাতত চারটি স্কুটার দিঘা জগন্নাথ মন্দির চত্বরে চলছে। পুলিশকর্মীরা ওই স্কুটারে চালিয়েই গোটা মন্দির চত্বরে নজর রাখছেন। গতির দিক দিয়ে দেখা গিয়েছে এই স্কুটারে দ্রুত 'স্পিড' তোলা যায়। দাম ২ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। যদি দেখা যায় এই স্কুটার কার্যকরী হয়ে উঠছে তবে ভবিষ্যতে রাজ্যের অন্যান্য এই ধরনের বিশেষ জায়গায় নজরদারি চালাতেও কেনা হবে।'
