আজকাল ওয়েবডেস্কঃ যে কোনও অসুখই প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যার জন্য রোগের নির্দিষ্ট লক্ষণ বোঝা জরুরি। শরীরে রোগ বাসা বাঁধলে তার লক্ষণ বিভিন্ন অঙ্গে ফুটে ওঠে। যেমন মুখেও একাধিক শারীরিক সমস্যার উপসর্গ দেখা যায়। তাই চোখের তলায় কালি কিংবা মুখের লালভাব কমানোর জন্য শুধুই রূপচর্চার প্রয়োজন নয়, নেপথ্যে লুকিয়ে থাকা রোগও চিহ্নিত করা প্রয়োজন। 

•    মহিলাদের মুখের রোম বেড়ে যাওয়াঃ ঠোঁটের উপর, দু’গালে রোমের ঘন রেখা নিয়ে বাইরে বেরতে অস্বস্তিবোধ করেন অনেকেই। তাই মাসে অন্তত দু’বার স্যালোঁয় গিয়ে মুখে ওয়াক্স করাতে হয়, কেউ আবার থ্রেডিং করেন। আর মুখের এই অবাঞ্ছিত রোমের কারণ হতে পারে পিসিওএস বা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম। এছাড়াও অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি এবং থাইরয়েড রোগের কারণে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলেও এই লক্ষণ দেখা যায়। 

•    ভ্রূ-র বাইরের অংশ কমে যাওয়াঃ হাইপোথাইরয়েডিজম ধীর বিপাকের সঙ্গে সম্পর্কিত।যার কারণে ভ্রূ-বাইরের অংশ কমে যেতে পারে। এছাড়াও আয়োডিনের ঘাটতি হলেও এমনটা হতে পারে। 

•    মুখের লালভাবঃ অ্যালার্জিজনিত সমস্যার কারণে মুখে লালভাব হতে পারে। এছাড়া অ্যাড্রিনাল গ্রন্থিতে সমস্যা হলে কর্টিসলের ক্ষরণ কমে যায়। শরীরে এই কর্টিসল হরমোনের ভারসাম্যহীনতা হলেও মুখে এই লক্ষণ ফুটে ওঠে। 

•    মুখের কোণে ঘাঃ ভিটামিন বি১২-এর অভাবে মুখে বিশেষ করে ঠাঁটের কোণায় ঘা হতে দেখা যায়। এটি ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের লক্ষণও হতে পারে। আবার শরীরে জলশূন্যতা হলেও এই উপসর্গ দেখা যায়। 

•    চোখের নিচে কালিঃ শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা হলে বিশেষ করে মহিলাদের ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বেড়া গেলে চোখের তলায় কালো ছোপ পড়তে পারে। এছাড়াও রক্তাল্পতা অর্থাৎ শরীরে আয়রনের মাত্রা কমে গেলেও এই লক্ষণ দেখা যায়।