সংবাদ সংস্থা মুম্বই: নতুনত্বের অভাবে ভুগছে বলিউড! সৃজনশীলতার দেউলিয়া মাঝেই হাঁপিয়ে উঠছে হিন্দি ছবির ইন্ডাস্ট্রি — সোজাসাপটা মন্তব্য নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির। সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে বলিউডকে এক হাত নিলেন বলিউডের এই জনপ্রিয় অভিনেতা।
নওয়াজ বললেন, “বলিউডে নিরাপত্তাহীনতাও প্রবল। ছবিতে একটা ফর্মুলা চলে মানেই সবাই সেটাকেই অন্তত বছর পাঁচেক ধরে ঘষে-মেজে চালাতে থাকে। ওইভাবেই দর্শকের সামনে পেশ করতে থাকে। এরপর দর্শক যখন তাতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তখন ওই ফর্মুলাটা ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। ততদিনে সৃজনশীলতা পুরোপুরি শেষ! এখন তো একটা ছবি হিট করলেই তার ২, ৩, ৪ নম্বর সিক্যুয়েল বেরোতে থাকে। এটা আর কিছু নয়, একেবারে ‘সৃজনশীলতার দারিদ্রতা’! এক কথায়, বলিউড এখন মৌলিকতার দিক থেকে পুরোপুরি ভিখিরি!”
তিনি আরও বলেন, “আর আমাদের ইন্ডাস্ট্রি তো শুরু থেকেই চোর। গান চুরি করেছি, গল্প চুরি করেছি। এমনকি যেসব কাল্ট সিনেমা প্রভূত জনপ্রিয়তা পেয়েছে, তাদের বিখ্যাত দৃশ্যগুলোও স্রেফ টুকে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে হিন্দি ছবিতে।” তাঁর সাফ মন্তব্য: “যারা চুরি করে, তারা আবার কতটা সৃজনশীল হতে পারে? দক্ষিণী সিনেমা থেকে, বিদেশি ছবি থেকে—যেখানে যা ভাল লেগেছে, তুলে এনেছে। আর এটাকেই এত স্বাভাবিক করে ফেলা হয়েছে যেন—‘চুরি তো কী হয়েছে!’ এককালে তো একেবারে সিডি ধরিয়ে দিয়ে বলা হত—‘এইটা বানাতে চাই’। ওই দেখে পুরো সিনেমা টুকে ফ্যালো!”
আর এর পরিণাম? সে জবাবও দ্বিধাহীনভাবে দিয়েছেন নওয়াজ। “এভাবে চলতে থাকলে নতুন অভিনেতা-পরিচালকেরাও হবে একই মানের। যাঁরা সৎভাবে কাজ করতে চাইতেন—অনুরাগ কাশ্যপদের মতো পরিচালক—তাঁরা ইন্ডাস্ট্রি ছাড়ছেন। কারণ এমন চোরাচালানসর্বস্ব বলিউডে ভাল কাজের কোনও জায়গা নেই।”
প্রসঙ্গত, একটি জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে নওয়াজের নতুন ছবি ‘কোস্তাও’। ছবিতে নওয়াজের চরিত্র কোস্তাও ফার্নান্ডেজ, এক গোয়ান কাস্টমস অফিসার যিনি সোনা পাচারের ভয়াবহ চক্র ভাঙতে গিয়ে ত্যাগ করেছেন নিজের সবকিছু। সেজাল শাহ পরিচালিত এই বাস্তব অবলম্বনে নির্মিত ক্রাইম ড্রামায় রয়েছেন প্রিয়া বাপাট, কিশোর, হুসেইন দালাল ও মাহিকা শর্মা।
