আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রায় ২৫০ বছর আগে ট্রাইসিক যুগকে বলা হত দ্যা গ্রেট ডায়িং সময়। সেই সময় পৃথিবীতে এমন প্রাণীরা ছিল যারা অতি সহজে মারা গিয়েছিল। সেইযুগের প্রায় ৯০ শতাংশ প্রাণী পৃথিবী থেকে হারিয়ে গিয়েছিল। বিজ্ঞানীরা মনে করেন সেই সময় একটি বিরাট আগ্নেয়গিরি থেকে আগুনের বৃষ্টি হয়েছিল।
এই আগুনের বৃষ্টির ফলে সেইসময়কার প্রাণীরা আর নিজেদেরকে বাঁচাতে পারেনি। সাইবেরিয়ার সামনে থাকা সেই আগ্নেয়গিরি থেকে যে পরিমানে লাভা বের হয়েছিল তা থেকে কেউ রক্ষা পায়নি। প্রাণীরা কার্যত মৃত্যুর ফাঁদে পড়ে গিয়েছিল। গোটা পৃথিবীর পরিবেশ পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল। বিশ্ব উষ্ণায়নের নতুন দিক তৈরি হয়েছিল। সমুদ্রের জল মাত্রাতিরিক্ত গরম হয়েছিল।
এরপর থেকে পৃথিবীতে শুরু হয়েছিল ডাইনোসোর যুগ। তবে সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা মনে করছেন ডাইনো যুগের আগেও পৃথিবীতে এমন প্রাণীরা বাস করত যারা ডাইনোদের থেকেও ভাল যোদ্ধা ছিল। তারা স্তন্যপায়ী ছিল। তাদের ধারালো দাঁত দিয়ে তারা প্রতিপক্ষকে ছিন্নভিন্ন করে দিত। তাদের দেহের আকার অনেকটা হাতির মতো ছিল। ফলে ওজনের দিক থেকে তারা ছিল প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ কিলোগ্রামের সমান।
তবে এতটা ওজন থাকার পরও তাদের দৈর্ঘ্য বেশি ছিল না। তারা ৪ মিটারের মতো লম্বা হত। তাদের সামনে আসতে ভয় পেত যেকোনও অন্য প্রাণীরা। রাশিয়া থেকে এই প্রাণীদের ফসিল হাতে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই প্রাণীরা দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সাত হাজার মাইল দূরে রাজত্ব করত। এই প্রাণীদের মাথার খুলি, দেহের কঙ্কালের যে ফসিল সামনে এসেছে তা থেকে অবাক হয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
ফসিলের যে টুকরো বিজ্ঞানীরা পেয়েছেন সেখান থেকে দেখা যায় এই প্রাণীরা অতি দ্রুত নিজেদের বংশবিস্তার করতে পারত। ফলে অন্য প্রাণীদের তুলনায় তারা অতি দ্রুত সংখ্যায় বাড়তে থাকে। ফলে কাউকে জব্দ করতে হলে তারা দলবেঁধে আক্রমণ করতেও পটু ছিল। তবে সেটা যদি না করত তাহলে তারা একাও শিকার করতে তৈরি থাকত।
