আজকাল ওয়েবডেস্ক: পহেলগাঁও নিয়ে আগামীদিনে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। কোন পথে জঙ্গিদের বিনাশ করা হবে। মঙ্গলবার সেই ছক কষতে ফের একবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার অজিত দোভাল এবং তিন বাহিনীর সেনা প্রধানরা। গত মঙ্গলবারই পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার ঘটনা হয়। সেখানে প্রাণ হারান ২৬ জন মানুষ। তাদের বেশিরভাগই পর্যটক ছিলেন। তারা সকলেই জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন।
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিন বাহিনীর প্রধান। তার মধ্যে ছিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান, চিফ অফ দ্যা আর্মি স্টাফ জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী এবং চিফ অফ দ্যা নেভেল স্টাফ অ্যাডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠী।
গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর বিভিন্ন ভারতীয় জায়গা লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে। ভারতও সেই হামলার কার্যকর জবাব দিচ্ছে। সোমবার রাতে ফের গুলি চালাল পাকিস্তান। এই নিয়ে টানা পাঁচ বার।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী ২৮ এপ্রিল রাতে নিয়ন্ত্রণ রেখায় বিনা উস্কানিতে কুপওয়ারা এবং বারামুল্লা জেলার বিপরীতে অবস্থিত এলাকা এবং আখনুর সেক্টর লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু করে। যদিও, ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে তারা এই উস্কানির জবাব পরিমাপিত এবং কার্যকরভাবে দিয়েছে।
সেনার তরফ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, "২৮-২৯ এপ্রিল রাতে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী কুপওয়ারা এবং বারামুল্লা জেলার বিপরীতে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে আখনুর সেক্টরে বিনা উস্কানিতে ছোট অস্ত্রের গুলিবর্ষণ শুরু করে। ভারতীয় সেনাবাহিনী এই উস্কানির কার্যকর জবাব দিয়েছে।"
২৬-২৭ এপ্রিল রাতে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকি সেনার গুলিবর্ষণের কার্যকর জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। ওই দিন তুতমারি গালি এবং রামপুর সেক্টরের বিপরীত দিকের এলাকাগুলিকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল পাকিস্তান।
