আজকাল ওয়েবডেস্ক: গত ২৪ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত চারদিনে পাঞ্জাবের অমৃতসরের আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ৫৩৭ জন পাকিস্তানি নাগরিক, যার মধ্যে নয়জন কূটনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন, ভারত ছেড়ে গেছেন। একই সময়ে ৮৫০ জন ভারতীয়, যাদের মধ্যে ১৪ জন কূটনীতিক ও কর্মকর্তা রয়েছেন, পাকিস্তান থেকে ফিরে এসেছেন বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে।

এই পদক্ষেপের পেছনে রয়েছে দক্ষিণ কাশ্মীরের পাহালগাঁও-এ ২২ এপ্রিল সংঘটিত ভয়াবহ জঙ্গি হামলা, যেখানে ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়েছিলেন। হামলার পর ভারত সরকার ১২টি স্বল্পমেয়াদী ভিসাধারীদের জন্য 'ভারত ছাড়ো' নোটিশ জারি করে।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২৭ এপ্রিল রবিবার একদিনেই ২৩৭ জন পাকিস্তানি নাগরিক ভারতে থেকে পাকিস্তানে ফিরে গেছেন। এর আগের দিনগুলোতে ২৬ এপ্রিল ৮১ জন, ২৫ এপ্রিল ১৯১ জন এবং ২৪ এপ্রিল ২৮ জন পাকিস্তানি নাগরিক দেশ ছাড়েন। একই সময়ে ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে ২৭ এপ্রিল ১১৬ জন, ২৬ এপ্রিল ৩৪২ জন, ২৫ এপ্রিল ২৮৭ জন এবং ২৪ এপ্রিল ১০৫ জন পাকিস্তান থেকে ভারতে ফিরে এসেছেন।

আটারি সীমান্তের প্রোটোকল অফিসার অরুণ মহল জানান, এসময় কিছু পাকিস্তানি নাগরিক বিমানপথেও ভারত ত্যাগ করতে পারেন, যদিও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ নেই। সেক্ষেত্রে তারা অন্য দেশ হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন।

সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, সার্ক ভিসাধারীদের জন্য চলে যাওয়ার সময়সীমা ছিল ২৬ এপ্রিল। চিকিৎসা ভিসাধারীদের জন্য তা ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ১২টি ভিসা ক্যাটাগরির মধ্যে রয়েছে — ভিসা অন অ্যারাইভাল, ব্যবসা, চলচ্চিত্র, সাংবাদিক, ট্রানজিট, সম্মেলন, পর্বতারোহণ, ছাত্র, দর্শক, পর্যটক দল, তীর্থযাত্রী এবং দলীয় তীর্থযাত্রী ভিসা।

এছাড়াও, ২৩ এপ্রিল তিনজন পাকিস্তানি প্রতিরক্ষা সংলগ্ন কর্মকর্তা — সেনা, নৌ ও বিমান উপদেষ্টা —কে 'পার্সোনা নন গ্রাটা' ঘোষণা করে ভারত, এবং এক সপ্তাহের মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেয়। তাদের সহায়তাকারী পাঁচজন স্টাফকেও ভারত ত্যাগ করতে বলা হয়। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ভারতও ইসলামাবাদে নিযুক্ত নিজের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টাকে ফিরিয়ে নিয়েছে।

তবে দীর্ঘমেয়াদি এবং কূটনৈতিক বা সরকারি ভিসাধারীরা এই 'ভারত ছাড়ো' নির্দেশের আওতায় আসেননি।