আজকাল ওয়েবডেস্ক: একদিকে যেখানে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়ছে সেখানে পহেলগাঁও হামলাকে সমর্থন করে বিপাকে এক ভারতীয়। কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালুরুর এক ব্যক্তি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এই হামলাকে সমর্থন করেছিলেন। এই ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নাম নিচ্চু ম্যাঙ্গালুরু। তার বিরুদ্ধে ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও জঙ্গি হামলাকে সমর্থন করার অভিযোগ উঠেছে।
ইন্ডিয়া টুডের খবর অনুসারে এই ফেসবুক ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার অনুসারে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে এই ধরণের মন্তব্য কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না বলেই জানানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে এই ধরণের পোস্টে যে ধরণের ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে তা দেশের পক্ষে সঠিক নয়। অভিযুক্তকে হেপাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।
ফেসবুক পোস্টে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলাকে ২০২৩ সালের পালঘর রেলওয়ে স্টেশনের একটি গুলি চালানোর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। সেখানে একজন আরপিএফ অফিসার চারজন ব্যক্তিকে গুলি করে মেরেছিলেন। তাদের মধ্যে একজন প্রবীণ নাগরিকও ছিলেন।
এরপরই সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এরপরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। দ্রুত ফেসবুকের সেই পোস্টটিকে তারা স্ক্রিণশট করে নেয়। এরপরই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
পহেলগাম হামলায়, সন্ত্রাসীরা বৈসরান উপত্যকার তিনটি পৃথক স্থানে হামলা চালিয়েছিল। পুলিশ সূত্রের মতে, এক স্থানে একসঙ্গে পাঁচজনকে হত্যা করা হয়েছিল, দুজনকে খোলা মাঠে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল এবং অন্যদের উপত্যকার চারপাশের কাছে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। যারা বেড়ার উপর দিয়ে লাফিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল তারা রক্ষা পেয়েছিল। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা জানিয়েছেন যে আক্রমণকারীরা গুলি চালানোর আগে তাদের সঙ্গে কথাও বলেছিল।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ বৃহস্পতিবার পহেলগাম হামলার সঙ্গে জড়িত তিন সন্দেহভাজনের স্কেচ প্রকাশ করেছে। দুজন পাকিস্তানি নাগরিক: হাশিম মুসা ওরফে সুলেমান এবং আলি ভাই ওরফে তালহা। তৃতীয়জন, আব্দুল হুসেন থোকার, কাশ্মীরের অনন্তনাগের বাসিন্দা। তাদের ধরার জন্য পুলিশ ২০ লক্ষ টাকা নগদ পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
