মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫
সম্পূর্ণ খবর

AD | ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৯ : ৪৭Abhijit Das
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফের রক্তাক্ত হয়েছে কাশ্মীর। মঙ্গলবার ভূস্বর্গের বিখ্যাত পর্যটনস্থল পহেলগাঁওয়ের বৈসরনে জঙ্গি হানায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২৬ জন পর্যটকের। আহত হয়েছেন বহু। হামলার পরের দিন, বুধবার নিজের বাসভবেন একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটি (সিসিএস)-র বৈঠকে হাজির ছিলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা সেই বৈঠকের পর এক একগুচ্ছ কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ভারত সরকার। বৈঠক শেষে বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচটি পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেন। যার মধ্যে অন্যতম ভারত-পাকিস্থান সিন্ধু জল চুক্তিতে স্থগিতাদেশ।
১৯৬০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু জল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। নয় বছরের আলোচনার পর বিশ্ব ব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় তৎকালীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আয়ুব খান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
কীভাবে কাজ করে এই চুক্তি
চুক্তি অনুযায়ী, পূর্বের নদীগুলি অর্থাৎ রবি, বিয়াস এবং সুতলেজের জল পাবে ভারত এবং পশ্চিমের সিন্ধু, ঝিলম এবং চেনাবের জল পাবে পাকিস্তান। এই চুক্তির ফলে সামগ্রিক ভাবে সিন্ধু এবং তার উপনদীগুলির মোট জলের উপর পাকিস্তানের অধিকার ৮০ শতাংশ! ভারতের মাত্র ২০ শতাংশ! পাঞ্জাব এবং সিন্ধ প্রদেশের অর্থনীতি এই জলের উপরেই নির্ভরশীল।
বিশ্বব্যাংকের মতে, এই চুক্তি সিন্ধু নদী ব্যবস্থার সুষ্ঠু ও সহযোগিতামূলক ব্যবস্থাপনার জন্য একটি কাঠামো তৈরি করেছে, যা ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশেই কৃষি, পানীয় জল এবং শিল্পের জন্য অপরিহার্য। চুক্তির শর্ত বলছে ভারত বা পাকিস্তান নিজেদের প্রয়োজনে ওই জল ব্যবহার করলেও কোনও অবস্থাতেই জলপ্রবাহ আটকে রাখতে পারবে না।
কেন এই চুক্তি
তিব্বতে উৎপত্তি এই সিন্ধু নদের। ভারত এবং পাকিস্তানের উপর দিয়ে এর একটা বড় অংশ প্রবাহিত হয়েছে। কিছুটা রয়েছে আফগানিস্তান এবং চীনেও। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার সময় ভারত ভাগের পর এই সিন্ধু নদ দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার মূল কারণ হয়ে ওঠে।
১৯৪৮ সালে ভারত সাময়িক ভাবে পাকিস্তানে সিন্ধুর জলপ্রবাহ বন্ধ করে দেয়। এই বিষয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জে অভিযোগ জানায় পাকিস্তান। রাষ্ট্রপুঞ্জ সিদ্ধান্ত নেয় তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতায় এই বিষয়টির মীমাংসা করা হবে। এগিয়ে আসে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। ১২ বছর ধরে আলোচনার পর ১৯৬০ সালে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।
এই চুক্তি বাতিলে কী প্রভাব পড়বে পাকিস্তানে
পহেলগাঁও হামলার পর ভারত সিন্ধু চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে গেলে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে সেচ ব্যবস্থা মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞেরা। নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে কৃষিতে। এর ফলে অর্থনৈতিক ভাবে ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানের ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হতে পারে। কারণ, সিন্ধু ও তার উপনদীগুলির জলের উপরেই পাকিস্তানের ৮০ শতাংশ কৃষি নির্ভরশীল।
সেচব্যবস্থা, কৃষিকাজ এবং পানীয় জলের জন্য সিন্ধু এবং তার উপনদীর উপরেই নির্ভরশীল পাকিস্তান। দেশের মোট আয়ের ২৩ শতাংশ আসে কৃষি থেকেই। গ্রামের ৬৮ শতাংশ মানুষ এর উপরেই নির্ভরশীল।
সিন্ধু অববাহিকা প্রতি বছর ১৫৪.৩ মিলিয়ন একর-ফুট জল সরবরাহ করে। যা পাকিস্তানের বিস্তৃত কৃষিক্ষেত্রে সেচ এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভারত জলপ্রবাহ বন্ধ করে দিলে চাষবাস ক্ষতিগ্রস্ত হবে, খাদ্য সঙ্কট দেখা দিতে পারে এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতা তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। ভূগর্ভস্থ জলের যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে ইতিমধ্যেই পাকিস্তানে জলের সমস্যা রয়েছে।
ছয় বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতের সিন্ধু জল কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী প্রদীপ কুমার সাক্সেনা পিটিআইকে বলেন, "উচ্চতর নদী তীরবর্তী দেশ হিসেবে ভারতের কাছে একাধিক বিকল্প রয়েছে। সরকার যদি সিদ্ধান্ত নেয় তবে এটি চুক্তি বাতিলের দিকে প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে।" তিনি আরও বলেন, "যদিও চুক্তি বাতিলের জন্য কোনও স্পষ্ট বিধান নেই। তবে, চুক্তির আইন সম্পর্কিত ভিয়েনা কনভেনশনের ৬২ অনুচ্ছেদে পর্যাপ্ত সুযোগ রয়েছে যার অধীনে চুক্তিটি বাতিল করা যেতে পারে। বর্তমান সময় বিদ্যমান পরিস্থিতির মৌলিক পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে তা করা যেতেই পারে।"
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে সিন্ধু চুক্তির পুনর্মূল্যায়ণের জন্য প্রথম বার পাকিস্তানকে নোটিস পাঠিয়েছিল নয়াদিল্লি। কিন্তু ইসলামাবাদের তরফে সে বার কোনও সাড়া মেলেনি।
প্রদীপের মতে, জম্মু ও কাশ্মীরের পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলিতে কিষাণগঙ্গা জলাধার এবং অন্যান্য প্রকল্পের 'রিজার্ভার ফ্লাশিং'-এর উপর নিষেধাজ্ঞাগুলি মেনে চলার জন্য ভারতের 'কোনও বাধ্যবাধকতা নেই'। রিজার্ভার ফ্লাশিং হল জলাধার থেকে জমা পলি অপসারণের মাধ্যমে বাঁধের নিম্ন স্তরের আউটলেট ব্যবহার করে জলাধারের জলের স্তর কমিয়ে আনা এবং জলাধারে প্রবাহের গতি বৃদ্ধি করা।
চুক্তি অনুসারে, সিন্ধু এবং এর উপনদীগুলিতে বাঁধের মতো কাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে নকশার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এর আগে, পাকিস্তান নকশাগুলি নিয়ে আপত্তি তুলেছে। তবে ভবিষ্যতে, সেই আপত্তিগুলি নিয়ে বিবেচনায় করা বাধ্যতামূলক হবে না।
অতীতে, প্রায় প্রতিটি প্রকল্পেই পাকিস্তান আপত্তি জানিয়েছে, উল্লেখযোগ্য প্রকল্পগুলি হল সালাল, বাগলিহার, উরি, চুতক, নিমু বাজগো, কিশেঙ্গঙ্গা, পাকাল দুল, মিয়ার, লোয়ার কালনাই এবং রাতলে। ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর, কেন্দ্র লাদাখে আরও আটটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প অনুমোদন করে। নতুন প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে পাকিস্তানের আপত্তি আর প্রযোজ্য নাও হতে পারে। চুক্তি অনুযায়ী, জলাধারগুলি কীভাবে ভরাট এবং পরিচালনা করা হবে তার উপরও কার্যকরী বিধিনিষেধ রয়েছে।
চুক্তিটি স্থগিত থাকায়, এ সব আর প্রযোজ্য হবে না। প্রদীপ পিটিআইকে জানান, ভারত চাইলে নদীগুলির বন্যার তথ্য ভাগাভাগি করাও বন্ধ করতে পারে।

নানান খবর

রাজ্যে রাজ্যে গাঁজা পাচার, অবশেষে রাজস্থানে গ্রেপ্তার 'মোস্ট ওয়ান্টেড' ধরমবীর

দুঃসময় কাটছে না বোয়িং ড্রিমলাইনারের, একদিনে বাতিল এয়ার ইন্ডিয়ার সাতটি উড়ান

'সার কিনে দাও', স্ত্রীর আবদার মেটাতেই সাড়ে সর্বনাশ স্বামীর, বিয়ের ৩৬ দিন পর ভয়ঙ্কর ঘটনা

খেলার ছুঁতোয় বোনের ঘরে, দরজা বন্ধ করে দাদা যা করল, শিউরে উঠল গোটা পরিবার

ভারতের কাছে সুযোগ ছিল পাকিস্তানের পরমাণু ঘাঁটি ধ্বংস করার, ‘ঐতিহাসক ভুল’ করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী: হিমন্ত

প্রথমে ডাকাতি পরে ছুরি দিয়ে খুন! দিল্লিতে গ্রেপ্তার তিন নাবালক

ভারতের কোন কোন রাজ্যে মুসলমানদের বসবাসের হার বেশি? দেখুন তালিকা

পুরনো মসজিদ ভাঙতে গিয়েই আচমকা ঘটল ভয়াবহ ঘটনা, আহত ১০ বছরের বালক সহ আরও ৩

শ্মশানেই বসল বিয়ের মণ্ডপ, কী এমন হল উত্তরপ্রদেশে, সত্যিটা জানলে আপনার চোখে জল আসবে

ভুয়ো মায়ের জাল মৃত্যু সংশাপত্র দিয়ে স্কুলে চাকরি! বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে ভয়ঙ্কর নিয়োগ কেলেঙ্কারি

পুলিশি এনকাউন্টারে কুখ্যাত অপরাধীর মৃত্যু

পুনেতে সেতু ভেঙে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, ৪ জনের মৃত্যু, আহত ৩২

ট্রাকের পেছনে 'আওয়াজ দো' লেখা থাকে কেন জানেন? জানলে বিস্মিত হবেন আপনিও

নবজাতক শিশু ও মায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু! পালাতে গিয়ে ধরা পড়ল অভিযুক্ত ডাক্তার

গরমের দাবদাহ থেকে শীঘ্র রেহাই, ঝাড়খণ্ডে অবশেষে বর্ষা

এক বোতলের দাম ৫২ কোটি টাকা! জানেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি মদের নাম?

কোহলির পরিবর্ত বেছে নিলেন প্রাক্তন নির্বাচক, তালিকায় নেই গিল-সুদর্শন

‘শর্তহীন আত্মসমর্পণ’, কেন নিজের পোস্টে লিখলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, বাড়ছে জল্পনা

কোহলির পরিবর্ত বেছে নিলেন প্রাক্তন নির্বাচক, তালিকায় নেই গিল-সুদর্শন

অবিশ্বাস্য বোলিং আইপিএলের বিতর্কিত বোলার দিগ্বেশের, লখনউয়ের কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কার পোস্ট ভাইরাল

বোকা জুনিয়র্সের বিরুদ্ধে গোল করে কি ক্ষমা চাইলেন মারিয়া? ভুল ভাঙালেন আর্জেন্টাইন তারকা, কী বললেন তিনি?

'শান্তির জন্য খেলছি', ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের আবহে ট্রাম্পকে বিশেষ জার্সি রোনাল্ডোর

টেস্ট সিরিজের আগে লন্ডনে হাজির ভারতের টি-২০ অধিনায়ক, বাড়ছে ধোঁয়াশা

লাল কার্ড বের করতে গিয়ে ঈশ্বরের ছবি দেখালেন রেফারি, ক্লাব বিশ্বকাপে অবাক করার মতো ঘটনা

টাক পড়ে একাকার? এই ঘরোয়া তেলের জাদুতেই চিরতরে পিছু ছাড়বে চুল পড়ার সমস্যা, দ্রুত গজাবে নতুন চুল

'আমি রক্তও দিতে পারি', টেস্ট চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে খুল্লমখুল্লা রাবাদা

উঠল ফিফার ট্রান্সফার ব্যান, ফুটবলার সই করাতে বাধা নেই মোহনবাগানের

কসবায় একই পরিবারের তিনজনের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ

কে জিতলেন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ? বাভুমা নাকি জয় শাহ? আইসিসি চেয়ারম্যানকে নিয়ে হাসিমস্করা

শহরে গৃহবধূর দেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ

চাহালকে নিয়ে ধাওয়ানের রহস্যময় পোস্ট, ধোঁয়াশা ফ্যানদের মধ্যে

৬ বছর পর ফের বিশ্বসেরা মন্ধনা, ফিরে পেলেন একনম্বর ব্যাটারের তাজ

একেবারে নির্মূল হবে পার্কিনসন্স! স্নায়ুর রোগে নতুন আশার আলো দেখালেন জাপানের চিকিৎসকেরা

কেন নেতৃত্ব প্রত্যাখান করলেন, ইংল্যান্ড সিরিজের তিনদিন আগে খোলসা করলেন বুমরা

এফডি-র সুদ কমেছে, ফলে ভাল রিটার্নের আশায় নজরে রাখুন পোস্ট অফিসের এই প্রকল্প

কাকদ্বীপে উঠল ৫০ টন ইলিশ, বুধবার থেকেই বাজার গরম, দাম কত হবে

ফের একসঙ্গে নাগা-সামান্থা! ভুল বোঝাবুঝি দূরে সরিয়ে বড়পর্দায় কবে রোম্যান্স করবেন প্রাক্তন জুটি?

ঠিকমতো জাতীয় সঙ্গীত গাইতে পারেননি এই ব্যক্তি, এই 'অপরাধ'-এ দেশ থেকে বিতারিত করা হয়েছিল তাঁকে