আজকাল ওয়েবডেস্ক: দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় অন্তত ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে তিন জন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। গোটা উপত্যকা ঘিরে ফেলেছে সেনা। রাস্তাঘাট শুনশান। পর্যটকদের হোটেলে থাকতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শোকপ্রকাশ করেছেন।
এদিকে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুতে উপত্যকায় বুধবার বন্ধ পালিত হচ্ছে। গত ৩৫ বছরে যা প্রথম। জঙ্গিহানায় নিরীহ মানুষের প্রাণ চলে যাওয়ায় বন্ধের ডাকা হয়েছে। জঙ্গিহানায় মৃত্যুর ঘটনায় এভাবে বন্ধ ৩৫ বছরে উপত্যকায় হয়নি। পহেলগাঁওয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এই বন্ধকে সমস্ত সংগঠনগুলি সমর্থন জানিয়েছে।
মঙ্গলবার দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় কমপক্ষে ২৬ জন মারা গিয়েছেন। মঙ্গলবার রাতেই হামলার দায় স্বীকার করেছে পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর–ই–তইবার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)। হামলায় কমপক্ষে ২৬ পর্যটকের মৃত্যুর পাশাপাশি অনেকে আহত হয়েছেন।
বন্ধের জেরে বুধবার সকাল থেকেই শ্রীনগরে দোকান, পেট্রল পাম্প সহ অন্যান্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে জরুরি পরিষেবাকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। বন্ধের প্রভাব গণ পরিবহনেও পড়েছে। রাস্তায় বাস বেশ কম। তবে ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
শহরের বেসরকারি স্কুল রয়েছে বন্ধ। তবে সরকারি স্কুল খোলা রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। বন্ধের প্রভাব শ্রীনগর ছাড়াও অন্যান্য অংশেও পড়েছে। উপত্যকার বেশ কয়েকটি জায়গায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল কনফারেন্সও এই বন্ধকে সমর্থন জানিয়েছে।
কাশ্মীরের পর্যটন সংস্থাও এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ও বন্ধকে সমর্থন জানিয়েছে। বুধবার কাশ্মীরপ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।
