আজকাল ওয়েবডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ১০৪ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হওয়ার পর, চীনও পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর শুল্ক ৮৪ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। বুধবার চীনের অর্থ মন্ত্রক এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানায়।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র লিন জিয়ান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, “চীন তার বৈধ অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় দৃঢ় ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য। যুক্তরাষ্ট্রের এমন দমনমূলক ও আধিপত্যবাদী আচরণ আমরা বরদাস্ত করবো না।”

বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে এই উত্তেজনা এখন প্রায় পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যযুদ্ধে রূপ নিতে যাচ্ছে। চীন যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপকে “বেপরোয়া ও বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থার জন্য হুমকি” বলে মন্তব্য করেছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) চীন যুক্তরাষ্ট্রের এই শুল্কনীতি কঠোরভাবে সমালোচনা করে বলেছে, “এটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বিপন্ন করছে এবং ডব্লিউটিওর নিয়ম ভঙ্গ করছে।”

ট্রাম্প প্রশাসন ফেব্রুয়ারিতে চীনা পণ্যে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, যা মার্চে দ্বিগুণ করে ২০ শতাংশে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ যোগ করে মোট ১০৪ শতাংশ শুল্কে পৌঁছেছে যা কার্যত একপ্রকার আমদানি নিষেধাজ্ঞার সামিল।

চীন গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৪৩৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র চীনে রপ্তানি করেছে ১৪৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। নতুন শুল্কের কারণে উভয় দেশের শিল্পক্ষেত্রে সংকট ঘনীভূত হচ্ছে। মার্কিন শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো অতিরিক্ত খরচ, কর্মী ছাঁটাই এবং প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।

বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, এই উত্তেজনা অব্যাহত থাকলে তা বিশ্ব অর্থনীতির ওপর গভীর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সম্ভাব্য মন্দার মুখে পড়তে পারে।