আজকাল ওয়েবডেস্ক: মায়ানমারের ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ১০৭ জন নিহত হয়েছেন। জখম হয়েছেন ৩৫০-র বেশি। নিখোঁজ অসংখ্য। এর মধ্যে মৃতদের মধ্যে ১০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে মায়ানমারে ও থাইল্যান্ডে নিহত ৪ জন।
থাইল্যান্ডে ভূমিকম্পের সময় একটি মসজিদে প্রার্থনা চলছিল। কম্পনের জেরে মসজিদের একাংশ ভেঙে পড়লে ঘটনাস্থলেই ওই তিনজনের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, ব্যাঙ্ককে বাড়ি ভেঙে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে মায়ানমারের জুন্টা (সামরিক) সরকার আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে। ভূমিকম্পের পর দেশের ৬টি প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
মায়ানমারের রাজধানীর সবথেকে বড় সরকারি হাসপাতালের ইমারজেন্সি ওয়ার্ডের বাইরে এখন শয়ে শয়ে জখম মানুষ চিকিৎসার জন্য পড়ে রয়েছেন। হাজার বেডের ওই হাসপাতালের চারধারে জখমদের চিৎকার শোনা যাচ্ছে এবং পরিজনরা ছোটাছুটি করছেন।
— 鳳凰資訊 PhoenixTV News (@PhoenixTV_News)Tweet by @PhoenixTV_News
মায়ানমারের মান্দালয়ে পুরনো রাজপ্রাসাদের একাংশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে, গগনচুম্বী বহুতলের শহর ব্যাঙ্ককের গভর্নর জানান, শহরের বেশ কিছু বাড়িতে ফাটল ধরেছে, বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। মায়ানমারের মান্দালয়ে শুক্রবার জোরাল ভূমিকম্পে বিশাল বিশাল আকাশচুম্বী বাড়ি তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল। ইতিমধ্যেই সেসব ভেঙে পড়ার দৃশ্য বাইরাল হয়েছে।
শুক্রবার মায়ানমারের মান্দালয়ে তীব্র ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৭.৭। প্রথম কম্পনের মাত্র ১২ মিনিটের মধ্যে আফটার শক দ্বিতীয় ভূমিকম্প হয় রিখটার স্কেলের ৬.৪ তীব্রতায়। থাইল্যান্ডের রাজধানী শহর ব্যাঙ্কক ও উত্তরাংশের চিয়াং মাই-সহ গোটা মায়ানমারে কম্পন অনুভূত হয়। এত জোরাল ভূমিকম্পে দু'টি দেশেই বিরাট ক্ষয়ক্ষতি হয়েচে। তবে, এখনও পর্যন্ত তার পরিমাণ জানা যায়নি।
ভারতের মেঘালয়ে কম্পণ অনুভূত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মায়ানমারে ভূমিকম্প নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিধ্বস্ত মায়ানমারকে সম্ভাব্য সকল সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে প্রস্তুত থাকারও নির্দেশ দিয়েছেন।
