বুধবার ১৮ জুন ২০২৫
সম্পূর্ণ খবর

Rahul Majumder | | Editor: Syamasri Saha ১২ মার্চ ২০২৫ ০১ : ৩১Rahul Majumder
নিজস্ব সংবাদদাতা: সময়ের সঙ্গে-সঙ্গে সভ্যতার নিয়মেই বদলেছে চারপাশ। শান্তিনিকেতন-ও সেই তালিকা থেকে বাদ যায়নি। শান্তিনিকেতনে বেড়েছে মানুষ, পর্যটক, ব্যবসা। পাদপূরণ করে বদলেছে পরিবেশও। তবে এসবের মধ্যেও কিন্তু মাথা উঁচু করে গর্ব নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে 'সুবর্ণরেখা'। শান্তিনিকেতনে ঘুরতে গিয়েছেন অথবা পড়াশোনা কিংবা চাকরি করেন, তাঁরা 'সুবর্ণরেখা'-এ অন্তত একটিবারও যাননি, তা একপ্রকার কল্পনাতীত। বিশ্বভারতীর 'এনসিয়েন্ট হিস্ট্রি' বিভাগে দীর্ঘ বছর অধ্যাপনা করেছেন অরুণ নাগ। সাহিত্যিকমহলেও তাঁর জনপ্রিয়তার কথা আলাদা করে উল্লেখ করা বাতুলতা। বহু বছর ধরে তিনি শান্তিনিকেতনের বাসিন্দা। সুবর্ণরেখা নিয়ে কথা বলার ফাঁকে শান্তিনিকেতনের বিবর্তনের প্রসঙ্গে কী বলছেন তিনি? শুনল আজকাল ডট ইন।
"দেখুন, শান্তিনিকেতনের বিবর্তন নিয়ে বলার মতো উপযুক্ত মানুষ আমি নই। তার কারণ আমার এখানে গোড়াপত্তন করার বহু আগেই এখানে বিবর্তনটা শুরু হয়ে গিয়েছিল। আমি এখানে এসেছি ১৯৭৯ সালে। সেটা বহু আগের সময় নিশ্চয়ই নয়। তাই সেই সময়ের এখানকার আদি বাসিন্দারা আমার তুলনায় ভাল বলতে পারবেন। তবে এই জায়গাটিকে বিদ্যার্জনের কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তাটা আজকাল আমাদের জনমানসে আর প্রচার পায় না, যতটা প্রচার পায় রবীন্দ্রনাথের তৈরি করা উৎসবের সংস্কৃতি। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে খুব একটা প্রাসঙ্গিক নয়। এই বিষয়টি নিয়ে আমি লিখেওছি। রোজ খবর, রোজ ছবি শান্তিনিকেতনের। পৌষমেলা, বসন্তোৎসব - শান্তিনিকেতনের তো আলাদা উৎসবের সিজন হয়ে গিয়েছে। গোটা শান্তিনিকেতনে থান থান কালচার ইট-পাটকেলের মতো ছড়ানো। একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে চতুর্দিকে এত হোটেল, রেস্টহাউজ পৃথিবীতে আর কোথাও নেই। কোথাও দেখতে পাবেন না। শান্তিনিকেতন কি পর্যটনকেন্দ্র? শান্তিনিকেতনের মূল চরিত্রটাই তো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে! একটা সময় ট্যুরিস্ট ব্যুরো থেকে বিজ্ঞাপন দেওয়া হতো, 'বর্ষায় আসুন শান্তিনিকেতন, বসন্তে আসুন শান্তিনিকেতনে...মানেটা কী! একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আর কোথাও এমন হয়? কেন হবে এরকম? আর কথা হচ্ছে যে, এই বিষয়টির সঙ্গে বহু মানুষের আর্থিক কারণ জড়িয়ে গিয়েছে। ফলে বুঝতেই পারছেন...তবে শিক্ষক হিসাবে রবীন্দ্রনাথ যে লক্ষ্য নিয়ে, আদর্শ নিয়ে তাঁর শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, বিশেষত শিশু শিক্ষা নিয়ে, তা যদি অটুট থাকে তাহলেই হবে। সেটাই আসল! "
তবু কেন এখনও থাকেন শান্তিনিকেতনে? অল্প হেসে অরুণবাবুর জবাব- " উত্তর দেওয়া খানিক মুশকিল। তবে এখনও এখানে কয়েক টুকরো নিঃসঙ্গতা খুঁজে পাই, শান্তি পাই। বেলি ফুলের গন্ধ, কোনও মেঘলা বিকেলে ভিজে রাস্তা ধরে হেঁটে যাওয়া... কোনওকিছুর তুলনায় এসব একবিন্দু কম গুরুত্বপূর্ণ নয়..."
অন্যদিকে, 'সুবর্ণরেখা'র বর্তমান কর্ণধার নীহার মজুমদার শান্তিনিকেতনের পাঠকদের বিবর্তন নিয়ে বললেন, " আমার ব্যক্তিগত মতামত, বই পড়ার যে প্রয়োজনীয়তা এবং অভ্যাস দুটোই কমে যাচ্ছে। তবে পাঠক আগেও ছিল, এখনও আছে। আগে হয়ত দুই মলাটে পড়তেন এখন ডিজিট্যালি পড়েন। পড়ার মাধ্যমটা বদলেছে।" আলাপে উঠে এল সুবর্ণরেখা-র পত্তনের কথাও। নীহারবাবুর কথায়, "আটের দশকের শুরু দিকে বাবা 'সুবর্ণরেখা' দোকানটি প্রতিষ্ঠা করেন। আগে তিনি এখানে প্রতি সপ্তাহে শুধু বই বিক্রি করতে আসতেন। উনি লক্ষ্য করেছিলেন, শান্তিনিকেতনে তখন কোনও বইয়ের দোকান ছিল না। হওয়ামাত্রই এখানকার মানুষজন সাদরে গ্রহণ করেন।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এখানকার মানুষের খিদেটা মিটে যাচ্ছে অন্যভাবে। আগে ধরুন, এখানকার কোনও পাঠকের ভ্যান গঘের বিষয়ে কিছু জানতে হলে সুবর্ণরেখায় এসে সেই বইটি উল্টেপাল্টে দেখতেন। প্রয়োজনে কিনে নিতেন। এখন তো ফোন খুললেই তার বিষয়ে জানতে পাওয়া যায়। সুতরাং, বই ঘাঁটার অভ্যাসটাই কমে যাচ্ছে। আরও একটা কথা বলি। আগে বিশ্বভারতীর 'পাঠ ভবন'-এর টিফিনের ছুটি হলেই ছাত্ররা ছুটে ঢুকে পড়ত এখানে। টিনটিনের কমিকস অথবা সত্যজিৎ রায়ের বই ঘাঁটত, সবাই মিলে বসে এখানে পড়া শুরু করে দিত। এখনও বসে পড়ার ব্যবস্থা আছে, কিন্তু পাঠক নেই।"
খানিক থেমে নীহারবাবু খানিক থেমে থেমে আরও বললেন, "বছর তিরিশ আগেও অন্যান্য জায়গার থেকে আলাদা করা যেত শান্তিনিকেতনকে। এখানকার মানুষদের রুচিবোধ...মানে সবকিছুতেই একটা ব্যতিক্রম ছিল। সেই ব্যতিক্রমী বিষয়টি হারিয়ে যাচ্ছে। শান্তিনিকেতন এখন পর্যটনকেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে! এটা দেখে কষ্ট হয়। দেখুন, এখানকার মানুষজন চাইতেন বাইরের মানুষ এখানকার সংস্কৃতি দেখুক। সেটাই হয়েছে। এবং তা বেড়েছে ক্রমাগত। বাড়তে বাড়তে বহুদূর চলে গিয়েছে। মুশকিল হচ্ছে, শান্তিনিকেতন জায়গাটি তো ছোট। তাই ছোট-ই রয়েছে, মানুষ বেড়েছে। ফলে যা হওয়ার হয়েছে। আর...আর...এখানে বহু পর্যটকরা এসে আজকাল যা করেন, তা দেখে বিস্ময় জাগে। 'আনন্দ শিক্ষা' মানে বিশ্বভারতীর যে অংশে ছোটরা পড়াশোনা করে- খেলাধুলো করছে, চোখে পড়ল হল! বাইরে থেকেই মোবাইলের ক্যামেরা খুলে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন এখানে ঘুরতে আসা মানুষজন। সেইজন্য ওই গোটা জায়গা আড়াল করে সবুজ কাপড় টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এগুলো দেখলে খারাপ লাগে।
ছোটবেলায় অনেক গলি ছিল, খোলামেলা ছিল। এখন পাঁচিল, পরিখা চারপাশে। দেখলে, কষ্ট হয়। কিন্তু শান্তিনিকেতনি আড্ডা কিন্তু এখনও আছে। কালোর দোকানটা হয়ত আর নেই, কিন্তু আড্ডাটা আছে। " এখনও তাহলে শান্তিনিকেতনের ম্যাজিকটা ঠিক কোথায়? এক পশলা সময় না নিয়ে সুবর্ণরেখা কর্ণধারের জবাব, " রবীন্দ্রনাথ। একমাত্র তিনি-ই! শুধু তিনি-ই।"
সুবর্ণরেখার বাইরে তখন রাত আরও একটু একটু করে গভীর হচ্ছে। দমকা বাতাসে টুপটাপ শব্দে ঝরে পড়ছে শালপাতা। দু'একটা সাইকেল বেল বাজিয়ে অলস গতিতে রাস্তা কেটে এগিয়ে যাচ্ছে। আর কোথাও বহুদূর থেকে বেজে আসছে বাঁশির মনকেমন করা সুর। মহাবীর রিক্সাচালকের মতন কোনও রিক্সাচালক কি-ই তা বাজাচ্ছেন? কে জানে!

নানান খবর

টাক পড়ে একাকার? এই ঘরোয়া তেলের জাদুতেই চিরতরে পিছু ছাড়বে চুল পড়ার সমস্যা, দ্রুত গজাবে নতুন চুল

একেবারে নির্মূল হবে পার্কিনসন্স! স্নায়ুর রোগে নতুন আশার আলো দেখালেন জাপানের চিকিৎসকেরা

কোষ্ঠকাঠিন্যের মোক্ষম দাওয়াই চেনা এই ৭ ফল! নিয়মিত খেলেই মলাশয় থেকে টেনে বার করবে পুরনো মল

কিডনির পাথর থেকে হৃদরোগ প্রতিরোধ, এক চুমুকেই চমৎকার! এই পানীয়র কেরামতিতেই মিলবে হরেক উপকার

কয়েক গুণ শক্তি বাড়িয়ে সূর্য-বুধ-বৃহস্পতির মহামিলন! ত্রিগ্রহী যোগে জ্যাকপট লাগবে ৪ রাশির, টাকার পাহাড়ে থাকবেন কারা?

কার্ডিও নাকি ওয়েট ট্রেনিং, ওজন কমাতে কোনটা বেশি ভাল? সঠিক উত্তর জানলেই মিলবে উপকার

প্রায়ই রাতে ঘুম ভেঙে যায়? শরীর কি কোনও মারাত্মক রোগের ইঙ্গিত দিচ্ছে! না বুঝলেই ধেয়ে আসবে চরম বিপদ

টানা ১১ দিন দু’চোখের পাতা এক করেননি, কী অনুভূতি ছিল তাঁর, ব়্যান্ডির স্বীকারোক্তি চমকে দিয়েছিল সকলকে

রক্তদান করতে ভয় পান? কয়েকটি সহজ নিয়ম মেনে চললেই আর এই মহৎ কাজে কোনও বাধা থাকবে না

স্নানের জলে এই জিনিস মিশিয়ে নিলেই নিমেষে গায়েব হবে শরীরের সব ব্যথা! ভোগাবে না অনিদ্রার সমস্যাও

একলা স্বামীর দিনলিপি! স্ত্রীকে হারিয়ে কতটা একাকিত্বে ভোগেন স্বামী? হদিশ দিলেন মনস্তত্ত্বের অধ্যাপিকা নীলাঞ্জনা সান্যাল

পজিশনে 'কমফোর্ট জোন'? কোন ভঙ্গি সবচেয়ে নিরাপদ? জেনে নিন

মাসে একবার শারীরিক মিলনে বাড়ে হৃদরোগের ঝুঁকি! কতবার সঙ্গমে সুস্থ থাকে হার্ট? চমকে দেওয়া ব্যাখ্যা দিলেন ফিটনেস প্রশিক্ষক

ঘন ঘন প্রস্রাব পায়? জানেন দিনে কতবার প্রস্রাব করা স্বাভাবিক? সংখ্যাই বলে দিতে পারে আপনি কতটা সুস্থ

সন্তান প্রজননই নেশা! ৯০০ শিশুর বাবা হয়ে অবশেষে অবসর 'রমণীমোহন' দিয়েগোর

বাদ কুলদীপ, প্রথম টেস্টের আগে পছন্দের দল বেছে নিলেন শাস্ত্রী

এক বোতলের দাম ৫২ কোটি টাকা! জানেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি মদের নাম?

কোহলির পরিবর্ত বেছে নিলেন প্রাক্তন নির্বাচক, তালিকায় নেই গিল-সুদর্শন

‘শর্তহীন আত্মসমর্পণ’, কেন নিজের পোস্টে লিখলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, বাড়ছে জল্পনা

কোহলির পরিবর্ত বেছে নিলেন প্রাক্তন নির্বাচক, তালিকায় নেই গিল-সুদর্শন

অবিশ্বাস্য বোলিং আইপিএলের বিতর্কিত বোলার দিগ্বেশের, লখনউয়ের কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কার পোস্ট ভাইরাল

বোকা জুনিয়র্সের বিরুদ্ধে গোল করে কি ক্ষমা চাইলেন মারিয়া? ভুল ভাঙালেন আর্জেন্টাইন তারকা, কী বললেন তিনি?

'শান্তির জন্য খেলছি', ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের আবহে ট্রাম্পকে বিশেষ জার্সি রোনাল্ডোর

টেস্ট সিরিজের আগে লন্ডনে হাজির ভারতের টি-২০ অধিনায়ক, বাড়ছে ধোঁয়াশা

লাল কার্ড বের করতে গিয়ে ঈশ্বরের ছবি দেখালেন রেফারি, ক্লাব বিশ্বকাপে অবাক করার মতো ঘটনা

'আমি রক্তও দিতে পারি', টেস্ট চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে খুল্লমখুল্লা রাবাদা

উঠল ফিফার ট্রান্সফার ব্যান, ফুটবলার সই করাতে বাধা নেই মোহনবাগানের

কসবায় একই পরিবারের তিনজনের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ

কে জিতলেন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ? বাভুমা নাকি জয় শাহ? আইসিসি চেয়ারম্যানকে নিয়ে হাসিমস্করা

শহরে গৃহবধূর দেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ

চাহালকে নিয়ে ধাওয়ানের রহস্যময় পোস্ট, ধোঁয়াশা ফ্যানদের মধ্যে

৬ বছর পর ফের বিশ্বসেরা মন্ধনা, ফিরে পেলেন একনম্বর ব্যাটারের তাজ

রাজ্যে রাজ্যে গাঁজা পাচার, অবশেষে রাজস্থানে গ্রেপ্তার 'মোস্ট ওয়ান্টেড' ধরমবীর

কেন নেতৃত্ব প্রত্যাখান করলেন, ইংল্যান্ড সিরিজের তিনদিন আগে খোলসা করলেন বুমরা

এফডি-র সুদ কমেছে, ফলে ভাল রিটার্নের আশায় নজরে রাখুন পোস্ট অফিসের এই প্রকল্প

কাকদ্বীপে উঠল ৫০ টন ইলিশ, বুধবার থেকেই বাজার গরম, দাম কত হবে

ফের একসঙ্গে নাগা-সামান্থা! ভুল বোঝাবুঝি দূরে সরিয়ে বড়পর্দায় কবে রোম্যান্স করবেন প্রাক্তন জুটি?

ঠিকমতো জাতীয় সঙ্গীত গাইতে পারেননি এই ব্যক্তি, এই 'অপরাধ'-এ দেশ থেকে বিতারিত করা হয়েছিল তাঁকে