রবিবার ১৮ মে ২০২৫

সম্পূর্ণ খবর

Shantiniketan s Transformation: A Balance Between Heritage and Tourism

লাইফস্টাইল | শান্তিনিকেতনের বুকে এক চিলতে ‘সুবর্ণরেখা’, কতটা বদলেছে কবিগুরুর স্মৃতি বিজড়িত এই স্থান?

Rahul Majumder | | Editor: Syamasri Saha ১২ মার্চ ২০২৫ ২০ : ০১Rahul Majumder


নিজস্ব সংবাদদাতা: সময়ের সঙ্গে-সঙ্গে সভ্যতার নিয়মেই বদলেছে চারপাশ। শান্তিনিকেতন-ও সেই তালিকা থেকে বাদ যায়নি। শান্তিনিকেতনে বেড়েছে মানুষ, পর্যটক, ব্যবসা। পাদপূরণ করে বদলেছে পরিবেশও। তবে এসবের মধ্যেও কিন্তু মাথা উঁচু করে গর্ব নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে 'সুবর্ণরেখা'। শান্তিনিকেতনে ঘুরতে গিয়েছেন অথবা পড়াশোনা কিংবা চাকরি করেন, তাঁরা 'সুবর্ণরেখা'-এ অন্তত একটিবারও যাননি, তা একপ্রকার কল্পনাতীত। বিশ্বভারতীর 'এনসিয়েন্ট হিস্ট্রি' বিভাগে দীর্ঘ বছর অধ্যাপনা করেছেন অরুণ নাগ। সাহিত্যিকমহলেও তাঁর জনপ্রিয়তার কথা আলাদা করে উল্লেখ করা বাতুলতা। বহু বছর ধরে তিনি শান্তিনিকেতনের বাসিন্দা। সুবর্ণরেখা নিয়ে কথা বলার ফাঁকে শান্তিনিকেতনের বিবর্তনের প্রসঙ্গে কী বলছেন তিনি? শুনল আজকাল ডট ইন।   

 


"দেখুন, শান্তিনিকেতনের বিবর্তন নিয়ে বলার মতো উপযুক্ত মানুষ আমি নই। তার কারণ আমার এখানে গোড়াপত্তন করার বহু আগেই এখানে বিবর্তনটা শুরু হয়ে গিয়েছিল। আমি এখানে এসেছি ১৯৭৯ সালে। সেটা বহু আগের সময় নিশ্চয়ই নয়। তাই সেই সময়ের এখানকার আদি বাসিন্দারা আমার তুলনায় ভাল বলতে পারবেন। তবে এই জায়গাটিকে বিদ্যার্জনের কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তাটা আজকাল আমাদের জনমানসে আর প্রচার পায় না, যতটা প্রচার পায় রবীন্দ্রনাথের  তৈরি করা উৎসবের সংস্কৃতি। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে খুব একটা প্রাসঙ্গিক নয়। এই বিষয়টি নিয়ে আমি লিখেওছি।  রোজ খবর, রোজ ছবি শান্তিনিকেতনের। পৌষমেলা, বসন্তোৎসব - শান্তিনিকেতনের তো আলাদা উৎসবের সিজন হয়ে গিয়েছে।  গোটা শান্তিনিকেতনে থান থান  কালচার ইট-পাটকেলের মতো ছড়ানো। একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে চতুর্দিকে এত হোটেল, রেস্টহাউজ পৃথিবীতে আর কোথাও নেই। কোথাও দেখতে পাবেন না। শান্তিনিকেতন কি পর্যটনকেন্দ্র? শান্তিনিকেতনের মূল চরিত্রটাই তো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে! একটা সময় ট্যুরিস্ট ব্যুরো থেকে বিজ্ঞাপন দেওয়া হতো, 'বর্ষায় আসুন শান্তিনিকেতন, বসন্তে আসুন শান্তিনিকেতনে...মানেটা কী! একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আর কোথাও এমন হয়? কেন হবে এরকম? আর কথা হচ্ছে যে, এই বিষয়টির সঙ্গে বহু মানুষের আর্থিক কারণ জড়িয়ে গিয়েছে। ফলে বুঝতেই পারছেন...তবে  শিক্ষক হিসাবে রবীন্দ্রনাথ যে লক্ষ্য নিয়ে, আদর্শ নিয়ে তাঁর শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, বিশেষত শিশু শিক্ষা নিয়ে, তা যদি অটুট থাকে তাহলেই হবে। সেটাই আসল! "

 

 

তবু কেন এখনও থাকেন শান্তিনিকেতনে? অল্প হেসে অরুণবাবুর জবাব- " উত্তর দেওয়া খানিক মুশকিল। তবে এখনও এখানে কয়েক টুকরো নিঃসঙ্গতা খুঁজে পাই, শান্তি পাই।  বেলি ফুলের গন্ধ, কোনও মেঘলা বিকেলে ভিজে রাস্তা ধরে হেঁটে যাওয়া... কোনওকিছুর তুলনায় এসব একবিন্দু কম গুরুত্বপূর্ণ নয়..."

 


অন্যদিকে, 'সুবর্ণরেখা'র বর্তমান কর্ণধার নীহার মজুমদার শান্তিনিকেতনের পাঠকদের বিবর্তন নিয়ে বললেন, " আমার ব্যক্তিগত মতামত, বই পড়ার যে প্রয়োজনীয়তা এবং অভ্যাস দুটোই কমে যাচ্ছে। তবে পাঠক আগেও ছিল, এখনও আছে। আগে হয়ত দুই মলাটে পড়তেন এখন ডিজিট্যালি পড়েন। পড়ার মাধ্যমটা বদলেছে।" আলাপে উঠে এল সুবর্ণরেখা-র পত্তনের কথাও। নীহারবাবুর কথায়, "আটের দশকের শুরু দিকে বাবা 'সুবর্ণরেখা' দোকানটি প্রতিষ্ঠা করেন। আগে তিনি এখানে প্রতি সপ্তাহে শুধু বই বিক্রি করতে আসতেন। উনি লক্ষ্য করেছিলেন, শান্তিনিকেতনে তখন কোনও বইয়ের দোকান ছিল না। হওয়ামাত্রই এখানকার মানুষজন সাদরে গ্রহণ করেন।

 

 সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এখানকার মানুষের খিদেটা মিটে যাচ্ছে অন্যভাবে। আগে ধরুন, এখানকার কোনও পাঠকের ভ্যান গঘের বিষয়ে কিছু জানতে হলে সুবর্ণরেখায় এসে সেই বইটি উল্টেপাল্টে দেখতেন। প্রয়োজনে কিনে নিতেন। এখন তো ফোন খুললেই তার বিষয়ে জানতে পাওয়া যায়। সুতরাং, বই ঘাঁটার অভ্যাসটাই কমে যাচ্ছে। আরও একটা কথা বলি। আগে বিশ্বভারতীর 'পাঠ ভবন'-এর টিফিনের ছুটি হলেই ছাত্ররা ছুটে ঢুকে পড়ত এখানে। টিনটিনের কমিকস অথবা সত্যজিৎ রায়ের বই ঘাঁটত, সবাই মিলে বসে এখানে পড়া শুরু করে দিত। এখনও বসে পড়ার ব্যবস্থা আছে, কিন্তু পাঠক নেই।"

 


খানিক থেমে নীহারবাবু খানিক থেমে থেমে আরও বললেন, "বছর তিরিশ আগেও অন্যান্য জায়গার থেকে আলাদা করা যেত শান্তিনিকেতনকে। এখানকার মানুষদের রুচিবোধ...মানে সবকিছুতেই একটা ব্যতিক্রম ছিল। সেই ব্যতিক্রমী বিষয়টি হারিয়ে যাচ্ছে। শান্তিনিকেতন এখন পর্যটনকেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে! এটা দেখে কষ্ট হয়। দেখুন, এখানকার মানুষজন চাইতেন বাইরের মানুষ এখানকার সংস্কৃতি দেখুক। সেটাই হয়েছে। এবং তা বেড়েছে ক্রমাগত। বাড়তে বাড়তে বহুদূর চলে গিয়েছে। মুশকিল হচ্ছে, শান্তিনিকেতন জায়গাটি তো ছোট। তাই ছোট-ই রয়েছে, মানুষ বেড়েছে। ফলে যা হওয়ার হয়েছে। আর...আর...এখানে বহু পর্যটকরা এসে আজকাল যা করেন, তা দেখে বিস্ময় জাগে। 'আনন্দ শিক্ষা' মানে বিশ্বভারতীর যে অংশে ছোটরা পড়াশোনা করে- খেলাধুলো করছে, চোখে পড়ল হল! বাইরে থেকেই  মোবাইলের ক্যামেরা খুলে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন এখানে ঘুরতে আসা মানুষজন। সেইজন্য ওই গোটা জায়গা আড়াল করে সবুজ কাপড় টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এগুলো দেখলে খারাপ লাগে।

 

 

ছোটবেলায় অনেক গলি ছিল, খোলামেলা ছিল। এখন পাঁচিল, পরিখা চারপাশে। দেখলে, কষ্ট হয়।  কিন্তু শান্তিনিকেতনি আড্ডা কিন্তু এখনও আছে। কালোর দোকানটা হয়ত আর নেই, কিন্তু আড্ডাটা আছে। " এখনও তাহলে শান্তিনিকেতনের ম্যাজিকটা ঠিক কোথায়? এক পশলা সময় না নিয়ে সুবর্ণরেখা কর্ণধারের জবাব, " রবীন্দ্রনাথ। একমাত্র তিনি-ই! শুধু তিনি-ই।"

 

 

সুবর্ণরেখার বাইরে তখন রাত আরও একটু একটু করে গভীর হচ্ছে। দমকা বাতাসে টুপটাপ শব্দে ঝরে পড়ছে শালপাতা। দু'একটা সাইকেল বেল বাজিয়ে অলস গতিতে রাস্তা কেটে এগিয়ে যাচ্ছে। আর কোথাও বহুদূর থেকে বেজে আসছে বাঁশির মনকেমন করা সুর। মহাবীর রিক্সাচালকের মতন কোনও রিক্সাচালক কি-ই তা বাজাচ্ছেন?  কে জানে!


Shantiniketan Arun Nag Subarnarekha

নানান খবর

নানান খবর

ফোনের পাসওয়ার্ড চাইছেন সঙ্গী? এই একটি দাবিই চিনিয়ে দেবে প্রেমিক-প্রেমিকার চরিত্র! জানেন কীভাবে?

ঘরেই পাবেন বিশুদ্ধ অক্সিজেন! চার দেওয়ালের ভিতরে বায়ু পরিশুদ্ধ করতে এখনই বাড়িতে আনুন তিনটি গাছ

গায়ে ‘মাছ ধরার জাল’, নেই অন্তর্বাসও! সেভাবেই ভরা বাজারে কেনাকাটা! মডেলের কাণ্ডে চোখ ঢাকতে বাধ্য হলেন পথযাত্রীরা

জিমে যাওয়ার সময় নেই? কাজের ফাঁকেই করুন ‘মাইক্রোওয়াকিং’! কোলেস্টেরল-হৃদরোগ ছুঁতে পারবে না

বিছানায় পড়তেই চোখ বুঝে আসবে ঘুমে, অনিদ্রা দূর করতে কাছে টানুন ‘মশলার রানি’কে

গরমে তৈলাক্ত ত্বকে টসটসে ব্রণ? ঘরোয়া উপাদানে তৈরি ৩টি ফেসপ্যাক ধ্বংস করবে ব্রণর বংশ

আর মোবাইল ছোঁবে না সন্তান, ফোনের প্রতি আসক্তি কমাতে অভিভাবকদের মানতে হবে পাঁচটি পদ্ধতি

কালবৈশাখীতে সাধের ছাদবাগান তছনছ হওয়ার আশঙ্কা? ঝড়ের আগেই পাঁচটি নিয়ম মানুন, রক্ষা পাবে গাছ-গাছালি

এক ঝলকেই চিনে নিন মিষ্টি রসে টইটুম্বুর লিচু! সহজ একটি টোটকা জানলেই আর কেনার সময় ঠকতে হবে না

পেট হবে সিমলার মতো ঠান্ডা, ঝরঝর করে বেরিয়ে যাবে কষা মল! তীব্র গরমে সুস্থ থাকুন দুই আয়ুর্বেদিক ঠান্ডা পানীয়ের জোরে

খোসা ছাড়া নাকি খোসা সহ, কীভাবে আমন্ড খেলে মিলবে সবচেয়ে বেশি উপকার?

এক-দু’দিন নয়, টানা ২২ বছর তলে তলে একা শাশুড়ির শয়নকক্ষে যেতেন জামাই! কেলেঙ্কারি ফাঁস করলেন বধূ

১৮-র যুবকদের কৌমার্য ভাঙাই ‘মিশন’! সঙ্গমের মধ্যে দিয়েই ‘সমাজসেবা’ করতে বদ্ধপরিকর মডেল

চুল ভাল রাখতে কোন হেয়ার ট্রিটমেন্ট করাবেন? কেমন হেয়ার কাট এখন ট্রেন্ডিং? জানালেন হেয়ার স্পেশালিস্ট বিমল ঠাকুর

রোবটের সঙ্গেই উদ্দাম যৌনতা, বিয়ে! বিধবা রমণীর ‘ডিজিটাল দাম্পত্য’ দেখে চোখ কপালে বিজ্ঞানীদের

সোশ্যাল মিডিয়া