দিন কয়েক আগেও তিনি সুস্থ ছিলেন। ছোট মেয়ে তনিশা মুখোপাধ্যায়ের ‘ঝলক দিখলা যা’ রিয়্যালিটি শো নিয়ে কথা বলেছেন। মেয়ের গর্বে গর্বিত তিনি। রবিবার তনুজা সমর্থ আচমকাই গুরুতর অসুস্থ। খবর, বার্ধক্যজনিত সমস্যায় এই অসুস্থতার কারণ। জুহুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তড়িঘড়ি ভর্তি করা হয় তাঁকে। আইসিইউতে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রবীণ অভিনেত্রীর অবস্থা স্থিতিশীল। বাংলা থেকে বলিউড— একটা সময় অবাধ গতিবিধি ছিল তাঁর। তনুজার বড় মেয়ে কাজল রুপোলি পর্দায় দাপুটে তারকা অভিনেত্রী।

পাঁচের দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শোভনা সমর্থের দুই কন্যা নূতন এবং তনুজা। মায়ের মতো তাঁরাও অভিনয়ে আসেন। ছ’য়ের দশকে নূতন ছিলেন বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় নায়িকা। দেবানন্দ থেকে দিলীপকুমার হয়ে অমিতাভ বচ্চন— সবার সঙ্গে সুপারহিট ছবিতে অভিনয় করেছেন। তনুজাও একই ভাবে ছবির দুনিয়ায় নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। হিন্দির পাশাপাশি বাংলা ছবিতেও একের পর এক হিট ছবি উপহার দেন। উত্তমকুমারের সঙ্গে তাঁর ‘দেয়ানেয়া’, ‘অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি’, ‘রাজকুমারী’ কালজয়ী। ছবির প্রত্যেকটি গান আজও সঙ্গীতপ্রেমীদের প্রিয়। এছাড়াও তিনি অভিনয় করেন‘আদালত ও একটি মেয়ে’, ‘তিন ভুবনের পারে’, ‘প্রথম কদম ফুল’, ‘পিতাপুত্র’, ‘লাল কুঠী’তে। তনুজার শেষ কাজ পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের ‘সোনার পাহাড়’। 

১৯৪৩-এর ২৩ সেপ্টেম্বর মুম্বইয়ে মহারাষ্ট্রীয় পরিবারে জন্মগ্রহণ তনুজার। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে তিনি ৮০ বছরে পা দিয়েছেন। সাল ১৯৫০-এ শিশুশিল্পী হিসেবে ‘হামারি বেটি’ ছবিতে আত্মপ্রকাশ। দেবানন্দ, রাজেশ খান্না, ধর্মেন্দ্র, অমিতাভ বচ্চন-সহ হিন্দি ছবির দুনিয়ার প্রথম সারির সমস্ত তারকাদের বিপরীতে অভিনয় করেছেন তিনি। ঝুলিতে ‘জুয়েল থিফ’, ‘হাতি মেরে সাথী’, ‘খুদ্দার’-এর মতো অসংখ্য ছবি। কাজলের সঙ্গে বিয়ের সূত্রে প্রযোজক-অভিনেতা অজয় দেবগন তাঁর জামাই। ১৯৭৩ সালে প্রযোজক শশধর মুখোপাধ্যায়ের ছেলে সোমু মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন তনুজা। অভিনেত্রীর অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়তেই উদ্বিগ্ন বলিউড। অনুরাগীরা তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।