আজকাল ওয়েবডেস্ক: গোলান হাইটস নামক সিরিয়া-ইজরায়েল সীমান্তের একটি ছোট্ট গ্রামে এক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে। তিন বছরের এক শিশু দাবি করেছে যে, আগের জীবনে তাঁকে খুন করা হয়েছিল। সেই খুনের সঠিক বিবরণ দিয়ে শিশুটি গ্রামের মানুষদের চমকে দেয়। শিশুটি জানায়, তাঁর দেহটি একটি নির্দিষ্ট স্থানে পুঁতে রাখা হয়েছে এবং খুনের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত কুঠারটি সেই স্থানেই লুকানো রয়েছে।

গ্রামবাসীরা তাঁর কথা অনুযায়ী খনন শুরু করে এবং অবিশ্বাস্যভাবে সেখানে একটি কঙ্কাল এবং একটি কুঠার উদ্ধার হয়। এই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন ডা. এলি লাস্চ, যিনি গাজায় তাঁর চিকিৎসা ক্ষেত্রে কাজের জন্য প্রসিদ্ধ। এই অলৌকিক ঘটনা পরবর্তীতে জার্মান লেখক ট্রুটজ হার্ডোর "চিলড্রেন হু হ্যাভ লিভড বিফোর: রিইনকার্নেশন টুডে" বইতে উল্লেখ করা হয়।

শিশুটির মাথায় একটি লম্বা লাল জন্মদাগ ছিল, যা তাঁর দাবি করা খুনের আঘাতের স্থানের সাথে মিলে যায়। ড্রুজ সম্প্রদায়, যারা জন্মদাগকে আগের জীবনের আঘাতের চিহ্ন বলে বিশ্বাস করে, তাঁরা এই ঘটনাকে খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখে। শিশুটি বড় হওয়ার পর তাঁর খুনিকে চিহ্নিত করতেও সক্ষম হয়। সে সরাসরি এক ব্যক্তির নাম বলে দেয়, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। প্রথমে সেই ব্যক্তি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করলেও, পরে কঙ্কাল এবং খুনের অস্ত্র পাওয়ার পর ব্যক্তিগতভাবে অপরাধের কথা স্বীকার করে।

এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই এটিকে এক অদ্ভুত কাকতালীয় ঘটনা বলে মনে করেন। অন্যদিকে, কেউ কেউ এই ঘটনাকে পুনর্জন্মের প্রমাণ হিসেবে বিবেচনা করছেন। এই ধরনের ঘটনা আমাদের মনে গভীর প্রশ্ন তুলছে—মৃত্যুর পর কি সত্যিই কোনো জীবন রয়েছে?  ডা. ইয়ান স্টিভেনসন এবং ডা. জিম টাকার এর মতো গবেষকরা বহু বছর ধরে শিশুদের পুনর্জন্মের স্মৃতি নিয়ে গবেষণা করছেন। যদিও আধুনিক বিজ্ঞান পুনর্জন্মের ধারণাকে প্রমাণ করতে পারেনি, এই ধরনের ঘটনা আমাদের জীবনের গোপন রহস্য সম্পর্কে নতুনভাবে ভাবতে বাধ্য করছে।