আজকাল ওয়েব ডেস্ক: ট্রয়ের যুদ্ধ থেকে পাহাড় ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া- প্রেমে পড়লে পুরুষ কী না করে! আর তার খেসারত হিসাবে যদি নিজের চরম ক্ষতি অথবা করুণ পরিণতি হয়, তাতেও কুছ পড়িয়া নেহি। সেকথাই যেন আবার প্রমাণ করলেন এই চিনে যুবক। বিয়ের আগে প্রেমিকা আবদার করেছিলেন, সন্তান জন্ম দিতে একজন নারীকে কতটা কষ্ট পেতে হয় সেকথা যদি যুবকটি অনুভব করেন তাহলে তাঁদের দাম্পত্য জীবন আরও সুন্দর হয়ে উঠবে। 

 

প্রেমিকার এই আবদার শুনে প্রথমে চমকে উঠে না করে দিয়েছিলেন ওই যুবক। এরপর সেই যুবককে চাপ দিতে থাকে মেয়েটির বোন এবং মা। শেষমেশ ভালবাসার খাতিরেই নিজের মত পাল্টান ওই যুবক। সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় একজন নারী কতটা ব্যাথা অনুভব করেন, তা নিজের উপর পরীক্ষা করার জন্য রাজি হয়ে যান তিনি। আর সেই প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিল ইলেকট্রিক শক!  জানা গিয়েছে দেড় ঘন্টার ওই বিশেষ প্রক্রিয়ায় ধীরে ধীরে যুবকের পেটের উপর দেওয়া শুরু হয়েছিল বিদ্যুতের ছোবল। পরে বাড়ানো হতে থাকে তীব্রতা এবং শেষ পর্যায় তা প্রায় চরমে পৌঁছয়! গুরুতর ব্যাথা পেয়েও ভালবাসার খাতিরে তা সহ্য করে গিয়েছিলেন সেই যুবক। প্রক্রিয়া শেষে তিনি ঘেমেনেয়ে একসা, শুরু হয়ে গিয়েছে বমি। যায় হোক, এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই অসহায় পিটার যন্ত্রণায় ছটফট করা শুরু করে দিলেন ওই যুবক। 


হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে শুরু হয় পরীক্ষানিরীক্ষা। চিকিৎসকেরা দেখলেন, গুরুতর জখম যুবকের ক্ষুদ্রান্ত্র। উপায় না দেখে সম্পূর্ণ ক্ষুদ্রান্ত্রে অস্ত্রোপচার করে বাদ দিতে হল যুবকের শরীর থেকে। এরপর গোটা ঘটনা জানতেই যুবকের বাড়ির লোকেরা বিয়ে বাতিল করে দেয়। অভিযোগ দায়ের করা হয় তাঁর প্রেমিকার নামে। জানা যাচ্ছে, গুরুতর মামলাও দায়ের করা হতে পারে অভিযুক্ত প্রেমিকার নামে। যদিও এরপরেও মেয়েটি নিজের কোনও দোষ  দেখছেন না। সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই মহিলা জানিয়েছেন, প্রয়োজনে যুবকটির চিকিৎসার সমস্ত খরচ টানতে তিনি প্রস্তুত!