আজকাল ওয়েবডেস্ক:  পৃথিবীতে বহু আগ্নেয়গিরি রয়েছে যেগুলি অতি সহজেই সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে। তাদের নিজেদের জায়গা থেকে তারা সক্রিয় হয়ে চারিদিক ধ্বংস করে দিতে পারে। তবে পৃথিবীর অন্যতম ভয়ঙ্কর একটি আগ্নেয়গিরি লুকিয়ে রয়েছে আন্টার্কটিকার কোলে।


মাউন্ট ইরেবাস পৃথিবীর অন্যতম সক্রিয় একটি আগ্নেয়গিরি। তবে বহু বছর ধরে এটি নিজের সক্রিয়তা খানিকটা হারিয়েছে বরফের তলায় থাকার জন্য। তবে বরফের চাদর একে উপর থেকে শীতল করলেও আসলে ভিতর থেকে এটি এখনও উত্তাপে ভরপুর রয়েছে। 


বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এই ইকোসিস্টেমের মধ্যে এই আগ্নেয়গিরি সক্রিয় মনে না হলেও এর প্রভাব যেকোনও দিন অন্যভাবে সামনে আসতে পারে। আন্টার্কটিকার বরফের মরুভূমিতে ১২ হাজার ৪৪৮ ফুট উচ্চতা নিয়ে চুপচাপ ঘুমিয়ে রয়েছে মাউন্ট ইরেবাস। এর ভিতরে একটি লাভা লেক রয়েছে। সেটি মাটির একেবারে গভীরে রয়েছে। এর সমস্ত লাভা বেরিয়ে আসার মুখগুলি বর্তমানে বরফ দিয়ে ঢাকা রয়েছে। তবে সেগুলি যেকোনও দিন ফের নিজের আসল রূপ ফিরে পেতে পারে।

 


বিজ্ঞানীদের চিন্তার কারণ হল এলিয়ানদের থাকার মতো বেশ কয়েকটি গুহা এখানে রয়েছে। সেখানে তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রয়েছে। যেখানে বাইরের দিকে তাপমাত্রা মাইনাস ৭৩ ডিগ্রি রয়েছে সেখানে ভিতরে এই তাপমাত্রা থাকার অন্য কারণ তৈরি হয়েছে। যে গরম পরিবেশ তৈরি হচ্ছে তাতে যেকোনও দিন এখান থেকে লাভা বের আসবে। 

 


এই আগ্নেয়গিরির একটি চিমনি বা মুখ রয়েছে। এটির উচ্চতায় প্রায় ৩০ মিটার। যদি এখান থেকে লাভা বের হতে শুরু করে তাহলে তার থেকে খারাপ আর কিছুই হবে না। তবে এই আগ্নেয়গিরির ভিতরে তৈরি হয়েছে একটি অন্য ধরণের পরিবেশ। সেখানে ছত্রাকজাতীয় বেশকিছু গাছ রয়েছে, এগুলির পাশাপাশি কিছু নতুন ধরণের ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়েছে। এগুলি আলো ছাড়াই বেঁচে থাকতে পারে। এদের মধ্যে অনেক প্রাণী এমন রয়েছে যেগুলি পৃথিবীতে প্রথম এসেছে। এটা আরও বড় চিন্তার কারণ বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন।