‘চন্দন আঁকা ছোট্ট কপাল, মাঝখানে টিপ কুমকুম লাল...তুমি কত সুন্দর...’



সুবীর সেনের জনপ্রিয় এই গান মনে পড়িয়ে দিলেন দর্শনা বণিক। কোনও বলিউডি স্টাইল নয়, বাঙালি বিয়ে যেমন হওয়া উচিত, সেভাবেই সাতপাকে বাঁধবেন সৌরভ দাসকে। তারকা যুগলের বিয়ে নিয়ে ক’দিন ধরেই উন্মাদনা অনুরাগীদের। কেমন সাজবেন সৌরভ-দর্শনা? বিয়ের সব রীতি মানবেন? অতিথি আপ্যায়ন করবেন কী খাইয়ে? তাই নিয়ে হাজারো জল্পনা। অবশেষে ১৫ ডিসেম্বর অভিজাত ব্যাঙ্কোয়েটে চার হাত এক। আশীর্বাদ থেকে সিঁদুরদান— সব রীতি নিষ্ঠার সঙ্গে মেনেছেন। তারকাজুটির বিয়েতে উপস্থিত নানা মান্যগন্য অতিথি। নিজে দাঁড়িয়ে বিয়ে দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়! 



বিয়ের আসর ছিল রকমারি মরশুমি ফুলে ঢাকা। নানা রঙের চন্দ্রমল্লিকায় সাজানো ব্যাঙ্কোয়েট। মাথার উপরে ঝাড়বাতির রোশনাই। পায়ের নীচে পুরু, নরম লাল কার্পেট। এমনই রাজকীয় পরিবেশে ল্যান্ডো গাড়ি চেপে পা রাখেন সৌরভ। তিনি জামদানি পাঞ্জাবি, ধুতিতে সজ্জিত। কাঁধের উত্তরীয় হাতে জড়ানো। চুল উল্টে আঁচড়ানো। চোখে গোল চশমা। ঠিক যেন বাবু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি নায়ক। নায়িকাও লাল কাস্টমাইজড বেনারসি আর গা ভার সোনার গয়নায় লক্ষ্মীমন্ত। হাতে গাছকৌটো। মুখ ঢেকেছেন পানপাতায়।



নেপথ্যে বেজেছে শাহরুখ খান অভিনীত ছবির গান। পানপাতায় মুখ ঢেকে নাচতে নাচতে বিয়ের মঞ্চে পা দর্শনার! দু’জনের গলাতেই টাটকা গোলাপের গোড়ের মালা। নিজেই সাতপাক ঘুরেছেন। পানপাতা সরিয়ে শুভদৃষ্টি সেরেছেন। তারপর মালাবদল হতেই সোহাগে-আদরে নতুন বৌকে জড়িয়ে ধরেছেন সৌরভ।



বিয়ের বাসরে দুই পরিবারের সবাই হাজির। তাঁদের সাক্ষ্মী মেনে লাজহোম, যজ্ঞ, সম্প্রদান, সিঁদূরদান সম্পন্ন। পাকাপাকি মিসেস সৌরভ দাস হলেন দর্শনা। 



অতিথিদের জন্য ছিল ঢালাও ভূরিভোজ। ফুচকা, এক্সপ্রেসো কফি, মকটেল দিয়ে শুরু। মেন কোর্সে রাধাবল্লভি, ছোলার ডাল, বাসন্তি পোলাও, ফিশফ্রাই, মাছের পাতুড়ি, চিংড়ির মালাইকারি, চিকেন, মাটন। শেষে আনারসের চাটনি। মধুরেণ সমাপয়েৎ ক্ষীর পাটিসাপ্টা, রাবড়ি দিয়ে মালপোয়া, নলেন গুড়ের রসগোল্লা, সন্দেশ, আইসক্রিমে।